ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য দিতে হবে বাড়তি ট্যাক্স : মেয়র আতিক

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য দিতে হবে বাড়তি ট্যাক্স : মেয়র আতিক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য বাড়তি ট্যাক্স দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। শনিবার সকালে রাজধানীর মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) আয়োজিত বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র এসব এ কথা বলেন। ‘ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি হওয়ায় যানজট বেশি হচ্ছে। গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় অতিরিক্ত ট্যাক্স দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গণপরিবহনে ও হেঁটে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত করি।’ অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীতে বড় বড় ফুটপাত নির্মাণ করা হলেও বিভিন্ন কায়দায় সেগুলো দখল হয়ে যায়। আর ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে না পেরে জনগণকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়, ফলে যানজট বৃদ্ধি পায়। যানজট কমাতে ফুটপাত অবমুক্ত করতে হবে। মানুষ ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। ট্রাফিক জ্যাম আরও বেশি হচ্ছে। আমাদের শহরে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। গুলশান-বনানীতে গাড়ির শেষ নেই। চারদিকে গাড়ি। একই পরিবারে বাবা, মা, ছেলে, মেয়ের আলাদা আলাদা গাড়ি। বিদেশে আমরা দেখেছি ট্যাক্স দিয়ে এলাকায় গাড়ি ঢুকছে। আমরা পরিকল্পনা করেছি, গুলশান অভিজাত এলাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ট্যাক্স দিয়ে ঢুকতে হবে। এর জন্য আমরা একটা সমীক্ষা করে বের করব, এসব এলাকায় কত গাড়ি চলে।’ শহর রক্ষায় জনকল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করে যানজট ও বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব। সুস্থতার জন্য লোকজন যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় সাইকেল চালাতে পারে এবং ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারে, সে জন্য সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।মেয়র কিংবা কাউন্সিলর কারও একার পক্ষেই শহরকে রক্ষা করা সম্ভব নয়, দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে জনকল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ডিটিসিয়ের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান প্রমুখ।
×