ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষক করোনা আক্রান্ত

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষক করোনা আক্রান্ত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ উত্তরাঞ্চলের আরও চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ জন শিক্ষক এবং ১৩ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি স্কুলে ১৩ শিক্ষার্থী এবং ৬ জন শিক্ষক আক্রান্ত হওয়ায় সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুটি শ্রেণী বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নীলফামারীর জলডাকা উপজেলায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় স্কুলটি সংরক্ষিত ছুটির আওতায় দুদিন বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। ঠাকুরগাঁও ॥ সদর উপজেলার বাহাদুর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী পাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সোনালী শৈশব বিদ্যালয়ের মোট ১৩ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রয়েছে। ওই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণীতে পড়ে ওই শ্রেণীর ক্লাস সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তারা সবাই ঠাকুরগাঁও সরকারী শিশু বালিকা পরিবার সদস্য। এখানে মোট ৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ঘটনার পর ওই ১৩ জন শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বাকি শিক্ষার্থীদের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল তার রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মোট ৬ জন শিক্ষক করোনায় অক্রান্ত করেছেন নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিস। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাঃ মাহফুজার রহমান সরকার জানান, আক্রান্তরা সবাই ভাল আছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, গত সোমবার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ২ জন ও পঞ্চম শ্রেণীর ৩ জন ছাত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। করোনায় আক্রান্তদের বয়স ১০-১৪ বছরের মধ্যে। তারা সবাই ছাত্রী এবং তারা ঠাকুরগাঁও সরকারী বালিকা শিশু পরিবারের সদস্য। অপরদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রকিবুল আলম চয়ন বলেন, ভয় না পেয়ে বিদ্যালয়গুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছি। কারও লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। নীলফামারী ॥ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় চিড়াভিজা গোলনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে। শুক্রবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান জাহেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীর করোনা নমুনা পরীক্ষার জন্য শনিবার ও রবিবার দুদিন সংরক্ষিত ছুটি থেকে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন স্কুলের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা দুই ডোজ করে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। করোনা আক্রান্ত শিক্ষকরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে জানায়, আমরা তো স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সরকারের বিধি মোতাবেক সন্তানদের স্কুলে প্রেরণ করে থাকি। কিন্তু শিক্ষকরাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলে না। আমরা দেখতে পাই স্কুলের শিক্ষকরা মাস্ক ছাড়াই হাটবাজার ঘুরে বেড়ান। আমাদের সন্তানরা স্কুল যায় আর বাড়ি এসে ঘর বন্দী থাকে। এই স্কুলের শিক্ষকরা স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে তিনজন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এক অভিভাবক জয়নাল মোল্লা জানান, এখন আমাদের সন্তানদেরও করোনা টেস্ট করাতে হবে। জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক জানান, উপজেলা চিড়াভিজা গোলনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের যে তিন জন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছে তারা হলেন সুশান্ত কুমার রায় (২৮), আব্দুল জলিল (৫০) ও রামিজুল ইসলাম (৪৮)।
×