ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

দক্ষিণাঞ্চলে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসার মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার হাসপাতালগুলোতে ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন নয়জন। এনিয়ে সরকারী হিসেবে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় সর্বমোট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২৭ জন। এরমধ্যে গত ২২ দিনে ১৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৫১ জন। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখনো ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। যদিও গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক জিহাদী নামের এক ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তার রক্তের প্লাটিলেট ২০ হাজারে নেমে আসায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, ইতোমধ্যে ঢাকার আইডিসিআর’র একটি পরিদর্শক দল বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষাসহ তাদের বক্তব্য গ্রহন করেছেন। চিকিৎসাধীন রোগীর প্রায় সকলেই ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে এ অঞ্চলে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন রোগী নিজ এলাকার বাহিরে যাবার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অধিকতর পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ হাসপাতালে ৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। যারমধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫০ জন। এছাড়া পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯ জন রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যে ২৮ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবার পর চিকিৎসা নিয়ে ১১১ জন সুস্থ্য হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলার হাসপাতালে ২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন।
×