ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সৌর বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে তিস্তার চর এখন সমৃদ্ধির জনপথ

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সৌর বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে তিস্তার চর এখন সমৃদ্ধির জনপথ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ তিস্তার চরের সমৃদ্ধি । এখন স্বপ্ন নয়। বাস্তবতায় রূপ পেতেযাচ্ছে। তিস্তা মহা উন্নয়ন পরিকল্পনার মহাযজ্ঞ দৃশ্যমান হচ্ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনার অন্তরভূক্ত দুইশত মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বেসরকারী খাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ মেগাওয়ার্ড উৎপাদিত সৌরবিদ্যুত জাতীয় মূলগ্রীডে যোগ হতে যাচ্ছে। নদীর পরিত্যক্ত বালু চরের বুকে এক খন্ড উপশহর এখন প্রায় দৃশ্যমান। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। উৎপাদিত সৌর বিদ্যুত সেচ কার্যক্রমে তিস্তার চরের উদ্ধার হওয়া প্রায় ১২ লাখ হেক্টর বালু চরকে চাষাবাদে ব্যবহার হবে। কমমুল্যে কৃষক সেচ সুবিধা পাবে। জ্বালানি তেল নির্ভর বিদুৎতের চাপ কমবে। সৌর বিদুৎ দিয়ে দিনের বেলা সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ছোট, বড়, মাঝারি, শিল্প কলকারখানা চলবে। সৃষ্টি হবে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের। একই সাথে সমৃদ্ধশালী দেশের মর্যাদা পেতে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ নবায়ন যোগ্য পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুত উৎপাদনের শর্ত পুরনে দেশ একধাপ এগিয়ে যাবে। সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্ট ইনচার্জ - প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, জোগেন বানিয়ার ঘাট ও জামির বাড়ি ঘাট দুইটি এই পাওয়ার প্লান্টের খুব কাছে। পাওয়ার প্লান্টের রাস্তা ব্যবহার করে এই ঘাটের মানুষ যাতাযাতে সুবিধা পাবে। কোম্পানির নিজ অর্থায়নে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি এ্যাপরোজ লোহার ব্রীজ (দৈঃ ২৭.০৫ মিটার ও প্রঃ ৪ মিটার ) নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। চরবাসির উন্নয়ন এই প্রজেক্টের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে চরের জমির মূল্য বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র পুরোদমে বিদ্যুত উৎপাদনে যাবে। ইরিগ্রেশন মৌসুমকে র্টাগেট করে জোরেসোরে ফিনিশিং কাজ চলছে। সোলার পাওয়ার প্যানেলের প্লেট গুলোর মাঝখানের ফাঁকা জায়গা মৎস্য, পশু পালন, ছোটছোট ফলের বাগান , নানা জাতের সবজি চাষ চাষ করা হবে। এখানে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্য থাকবে। সোলার প্লান্টের চারিধারে ও আবাসিক চত্বওে সবুজের সমারহ থাকবে। যাহা পর্যটনকে আর্কষন করবে। তৈরি করা হবে রিসোর্ট। কর্মকর্তাদের বসবাসে বাংলোবাড়ি, কোয়াটার। চরের বুকে ছোটখাট শহর হবে। এই প্রজেক্টের পাশাপাশি সেনা কল্যাণ সংস্থান অধিনে ৪ শত একর জমির উপর ১০০ শত মেগাওয়ার্ড পৃথক আরেকটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সেনা কল্যাণ সংস্থা। তাদের দপ্তর ও সাইনবোর্ড শোভাপাচ্ছে।
×