স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই দেশটির অনেক নারী খেলোয়াড় লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ক্যারিয়ার তো বটেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা বিরাজ করছিল তাদের মনে। যে কারণে সপ্তাহের পর সপ্তাহ প্রাণভয়ে ছিলেন আফগান জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্যরা। তালেবানদের নজর এড়াতে দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটেছিলেন তারা। অবশেষে স্বস্তির খবর পেল আফগানিস্তানের নারী ফুটবলারদের জন্য। রবিবার সকালের ফ্লাইটে দেশ ছাড়তে পেরেছেন মহিলা ফুটবলাররা। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ পর্তুগালে আশ্রয় পেয়েছেন তারা।
কেউ হতে চান ডাক্তার, কারও ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। আবারও কেউবা হতে চান চলচ্চিত্র নির্মাতা। তবে তাদের মিল একটাই, সবাই খেলেন ফুটবল। মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তান থেকে গোটাতেই পুরো দেশ চলে যায় তালেবানের দখলে। নতুন সরকার গড়েছে তারা। কিন্তু নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলো জায়গা পায়নি পিছনের সারিতেও। মহিলাদের খেলাধুলা তো দূরের কথা, চাকরি, শিক্ষার বিষয়েও একেবারেই কোনরকম ছাড় দিতে নারাজ তালেবান। আফগান মহিলা ফুটবলের অধিকাংশই আবার নারী অধিকার আন্দোলনের সপক্ষে কথা বলতেন। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পরপরই সেই স্বপ্ন দেখা চোখগুলোতে নেমে আসে নিকষ কালো আঁধার।
জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়ার জন্য যেন হাঁসফাঁস করছিলেন আফগান মহিলা ফুটবলাররা। তাদের উদ্ধারে মিশন শুরু করে অপারেশন সকার বল। আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় আমেরিকার সাবেক সেনা সদস্য, গোয়েন্দারা। মার্কিন সিনেটর ক্রিস কুনস ও নানান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বদৌলতেই সম্ভব হয়েছে আফগান মহিলা ফুটবলারদের দেশত্যাগ। ২৬ জন কিশোরী ফুটবলার ও শিশুসহ ৮০ জনের দলটি পৌঁছেছে পর্তুগালের লিসবনে। সেদেশের সরকার তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কর্তা রবার্ট ম্যাকক্রিয়েরি।
অপারেশন সকার বলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন আফগান মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ফারখুন্দা মুহতাজ। কানাডাতে শিক্ষকতা করেন মুহতাজ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: