স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ সারাদেশব্যাপী মঙ্গলবার থেকে চলা পণ্যবাহী পরিবহনের ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি দিনাজপুরের হিলিস্থল বন্দরের কার্যক্রমে। মঙ্গলবার ও বুধবারও বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। বুধবার হিলি বন্দর ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সারাদেশে মোটরযান মালিকদের অগ্রিম আয়কর বাতিল ও কাগজপত্র যাচায়ের স্থান নির্ধারণসহ ১৫ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন। মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলে বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত। হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারতীয় পণ্য নিয়ে ৬০টি ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করেছে। আর খালাসি পণ্য নেওয়ার জন্য ১০০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। দুপুরে বন্দরে পণ্য নিতে আসা ট্রাকচালক গোবিন্দ দাস বলেন, ‘ধর্মঘটের কথা শুনেছি। কিন্তু কিছু করার নেই। কাজ না করলে সংসার চলবে না। তাছাড়া সারাদেশেই দায়সারা ধর্মঘট চলছে। আমাদের কাজ আমরা করছি।’ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সারাদেশে পণ্যবাহী পরিবহনের ধর্মঘট চললেও, হিলি স্থলবন্দরে শুরু থেকেই এর কোনো প্রভাব পড়েনি। দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল।’
ধর্মঘটের বিষয়ে স্থলবন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল শাফি বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে কাভার্ডভ্যানের তেমন প্রচলন নেই। ধর্মঘটের প্রভাব এখানে পড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কাভার্ডভ্যান মালিকদের সংগঠন আলাদা, আর ট্রাক মালিক সমিতির সংগঠন আলাদা। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।