ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তাপাড়ে হেলে পড়া ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

তিস্তাপাড়ে হেলে পড়া ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ তিস্তা নদী কোল ঘেষা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা টেপাখড়িবাড়ী দুই নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি উজানের ঢলের স্রোতে ও নদীর পাড় ভাঙ্গনের কারনে হেলে পড়েছে। স্কুল ভবনের পাশেপাশে ভাঙ্গনের কারনে সেখানে স্থানীয়রা বাঁশের পাইলিং করে দিয়েছে। এরপরেও ওই স্কুল ভবনের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। আজ বুধবার সংশ্লিষ্টতা জানায় আশে পাশে জায়গা খোঁজা হচ্ছে সেখানে অস্থায়ীভাবে টিন দিয়ে স্কুল ঘর নির্মাণ করে ক্লাশ চালু রাখা হবে। করোনাকালিন দীর্ঘ ৫৪৩ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে পাঠ দান থেকে বঞ্চিত ছিল। স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নিয়মিত ক্লাশ চলছে। জানা যায়, ২০০৮-০৯ সালে ওই স্কুলটি এলজিইডি পুনরনির্মাণ করলেও হেলে পড়া স্কুলভবনটি বর্তমানে বেহাল। হাঁটুসমান পানি কাদা মাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হয় ভবনের ভেতরে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে কোমলমতিদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। ভবনের দোতালায় ক্লাশ রুম থাকলেও ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টারসহ দরজা-জানালার গ্রিল খসে পড়ায় ক্লাশরুম গুলো পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুন জানান, স্কুলটি টাবুর তিস্তার চরে অবস্থিত। স্কুল ভবনটি নদী থেকে বেশ দুরেই ছিল। ২০১৯ সালের বন্যা ও ভাঙ্গনে নদী এখন বিদ্যালয়টি কাছাকাছি চলে আসে। চলতি বছরে বন্যা ও নদীর পানি এখনও বহমান থাকায় স্কুলের মাঠটি পানিতে ভরা। তাই স্কুলের নিচের অংশে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করানো হচ্ছে। স্কুলটি অচিরেই স্থানান্তরিত জরুরী বলে তিনি জানান। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে রয়েছে, পাশে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ক্লাস সচল রাখার জন্য বলেছি। এলাকাবাসীর সহযোগীতা পেলে স্কুলটি সরিয়ে নেয়া হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি। সরকারী ভাবে অর্থ বরাদ্দ ও এলাকায় জমি পেলে স্কুলটি স্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা যাবে।
×