ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাব-রেজিস্ট্রার হত্যার দায়ে ৪ আসামির ফাঁসি

প্রকাশিত: ০০:০৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

সাব-রেজিস্ট্রার হত্যার দায়ে ৪ আসামির ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর সাব রেজিস্ট্রার নুর মোহাম্মদ শাহ হত্যা মামলায় ৪ আসামির ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় পড়ে শোনান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (প্রথম আদালত) তাজুল ইসলাম। এ সময় ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গট্টিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইদুল ইসলাম, একই উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মশিউল আলম ওরফে বাবুল ওরফে বাবলু, খোকসার উপজেলার মাঠপাড়া এলাকার ইন্তাজ আলী শেখের ছেলে ফারুক হোসেন এবং কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার গোলাম কিবরিয়ার ছেলে কামাল শেখ ওরফে কামাল হোসেন। এছাড়া মনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু নামের অপর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া সদর সাব-রেজিস্ট্রার নুর মোহাম্মদ শাহকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর রাতে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাবর আলী গেটের ভাড়া বাসায় গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে রান্নাঘর থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই কামরুজ্জামান শাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ‘মামলাটি অলোচিত ছিল। পুলিশ তদন্ত করে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়। আসামিরাও তাদের দোষ স্বীকার করে। সবদিক বিবেচনা করে আদালতের বিচারক রায় দিয়েছেন। এতে ন্যায়বিচার পেয়েছে সাব-রেজিস্ট্রার নুর মোহাম্মদের পরিবার। স্ত্রী হত্যার রায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী গ্রামে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী সুমী আক্তারকে মারপিট, আগুনের গরম ছ্যাঁকা ও শ্বাস রোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী আলমগীর হোসেনকে (২৮) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডিত আসামির ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন আদালত। মঙ্গলবার নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২এর বিচারক মাহবুবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পরিবারের অপর ৬ সদস্যকে মুক্তি দেন।
×