ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বসে নেই। মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে মন্ত্রণালয়। তিনি জানান, দেশের মানুষের জন্য করোনার ভ্যাকসিন কিনতে ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে, আর এসব টিকা প্রয়োগ করতে সরকারের আরও ‘কয়েক হাজার কোটি’ টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ কারণে ভ্যাকসিন কার্যক্রম আগামীতে আরও ভাল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের ‘ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভ্যাকসিনে আমাদের দেশ বেশ ভাল করেছে দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা তো ভ্যাকসিন তৈরি করি না। যেসব দেশে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, তারা হয়তো আরও বেশি দিয়েছে। কিন্তু জোগাড় করেছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলেছি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে টিকা ক্রয় করে নিতে হবে- উনি এক মুহূর্ত দেরি করেন নাই। বলেছেন- অর্ডার দিয়ে দাও। আমরা চীন থেকে ছয় কোটি টিকা কিনেছি। তিনি এক মুহূর্ত দেরি করেন নি। বলেছেন অর্ডার দিয়ে দিতে। কাজেই এই দুই অর্ডারে প্রায় ১৬ কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি, বয়স্কদের দেয়া হচ্ছে। সব কাজ কিন্তু একসঙ্গে চলছে। দেশে ডেঙ্গু বেড়েছে, আমাদের তাদেরও চিকিৎসা দিতে হয়েছে একই সময়ে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বসে নেই। মন্ত্রণালয় কিন্তু দরজা বন্ধ করে নাই, প্রতিটা হাসপাতালে লোকজন ছিল। ৯০ ভাগ য²া রোগীই পুরোপুরি সুস্থ ॥ এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকারী স্বাস্থ্যসেবায় ৯০ ভাগ য²া রোগীই পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে। প্রতি বছর দেশে গড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হয়। বর্তমানে কোভিডকালীন মহামারীতে অন্য রোগের সঙ্গে এই রোগের চিকিৎসাও স্বাস্থ্য খাতকে দিতে হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্য খাত কোভিড, ডেঙ্গু চিকিৎসার পাশাপাশি য²া রোগেরও সঠিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকারী স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে য²া রোগে প্রতি বছর গড়ে ৯০ ভাগ মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার প্রমাণ করে এই সরকার রোগীকেন্দ্রিক সেবা প্রদানে কতটা আন্তরিক। আমরা দেশের অন্য অঞ্চলেও রোগীকেন্দ্রিক য²ার সেবা সম্প্রসারণ করব। ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যৌথভাবে কাজ করার এক অনন্য নজির। আমাদের সরকার য²া নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যা ২০৩০ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও অবদান রাখবে। এছাড়াও য²ামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সভায় উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, এই অসাধারণ ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টারের দ্বার উন্মোচন করতে পেরে ও যারা য²া রোগে আক্রান্ত হয়েও এর বিরুদ্ধে নিয়মিত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাদের জীবন রক্ষায় অবদান রাখতে পেরে আমরা যারপরনাই আনন্দিত। বাংলাদেশের মানুষদের স্বাস্থ্যকর ও উন্নত জীবনের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা এই সেন্টারটি তারই স্মারক। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আগে বলা হতো যার হয় য²া, তার নেই রক্ষা।
×