ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে, জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়ায় এবং এর ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সোমবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন এবং পৌরসভা নির্বাচন দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন এবং পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে, যা ইতিবাচক। সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ নিবেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কথা শুনলে মনে হয় দেশে একমাত্র তারাই গণতন্ত্রের ধারক, বাহক ও রক্ষক। তারাই গণতন্ত্রের সোল এজেন্ট। কিন্তু বিএনপি নিজেদের গণতন্ত্র হত্যার অতীত ভুলে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুখে জনগণের অধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বললেও নির্বাচনে অংশ না নেয়া বিএনপির স্পষ্ট দ্বি-চারিতা। যে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান না, অথচ জনগণের অধিকারের কথা বলেন- এ থেকে বুঝা যায় তাদের কথা ও কাজে কোন মিল নেই। তিনি বলেন, বিএনপি চর্চা করে দ্বৈত-নীতি। এ কারণে তাদের প্রার্থীদের ওপর ভোটারদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। বিএনপি এসব বুঝতে পেরেই ভরাডুবি এড়াতে নির্বাচন থেকে দূরে সরে গেছে, যা প্রকারান্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতাদের হঠকারিতা আর সরকারের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় কৌশল করতে গিয়ে বিএনপি এখন ‘আস্থাহীনতার ফাঁদে’ পড়েছে। তাই তারা এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও নেতিবাচক আর দূর-নিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোলের রাজনীতি সঙ্কট বিএনপিকে আরও গভীরে নিমজ্জিত করেছে। সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব তলবের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ নিয়ে সাংবাদিক মহলে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে বিষয়টি দেখবেন। শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাসী উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে কিংবা অন্যান্য সময় গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সুখে-দুঃখে শেখ হাসিনা সবসময় পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিএনপির শাসনামলে ছিল গণমাধ্যমের জন্য অন্ধকার সময় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তখন অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছিল। যাদের হাত সাংবাদিকদের রক্তে রঞ্জিত আজ তারা সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না করছে। এ নিয়ে বিএনপির কুম্ভিরাগকুম্ভিরাশ্রæ প্রদর্শন ‘মাছের মায়ের পুত্র শোক’-এর মতো।
×