ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার র‍্যাপিড টেস্টের যন্ত্র দেশে নেই : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনার র‍্যাপিড টেস্টের যন্ত্র দেশে নেই : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাত চেয়েছে বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার বসাতে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে সময় বেশি লাগে বলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। র‍্যাপিড পিসিআর করতে সময় কম লাগে। তবে করোনার র‍্যাপিড টেস্টের যন্ত্র দেশে নেই। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টম্বর) বিমানবন্দরে পার্কিংয়ের স্থান পরিদর্শন শেষে ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এসওপি’র বিষয়টি সিভিল অ্যাভিয়েশনের কাজ। এটা প্রবাসীকল্যাণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেখার বিষয় নয়। এটা তারা কোথায় পাঠিয়েছে, কোত্থেকে ক্লিয়ারেন্স পাবে, সেই ভিত্তিতে সিভিল অ্যাভিয়েশন কাজ করে যাবে। আপাতত আমরা আরটি-পিসিআর কাজ দিচ্ছি। র‍্যাপিড পরীক্ষাও আমরা বিবেচনায় নেব। এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, আমি এখনো বলতে পারছি না। করোনার পরীক্ষাগার কবে চালু হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এটা তো এক সপ্তাহ আগে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ইনভলভমেন্ট এটা একটা সমস্যা। তিন দিনের মধ্যে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষাগার চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব হলো প্রবাসীদের যাওয়াটা সহজ করে দেওয়া। এই প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের। আজকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, এত দিন আমরা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাত সে দেশে যেতে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার শর্ত আরোপ করেছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না অনেক প্রবাসী। ১৫ সেপ্টেম্বর সাত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার বসাতে নির্বাচন করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জমা দেয়। এসব এসওপি যাচাই করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়। তবে এর জবাব সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ এখনও দেয়নি।
×