ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি’

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি’

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংক্রমণের হার ছিল শতকরা সাড়ে ৫ শতাংশ, মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কম ছিল। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে করোনায় আমরা কতটা ভালো করেছি। আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংক্রমণের হার ছিল শতকরা সাড়ে ৫ শতাংশ, মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কম ছিল। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে করোনায় আমরা কতটা ভালো করেছি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলছে। করোনার সময়েও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমাদের খাদ্যের অভাব হয়নি। মানুষজনের চলাচল শুরু হয়ে গেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই। করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমাদের ৮০০টি করোনা পরীক্ষার ল্যাব বসাতে হয়েছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কোথাও অক্সিজেনের অভাব হয়নি। যার ফলে করোনায় আমাদের মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা করোনা ভাইরাসের টিকা দিচ্ছি। টিকা প্রদানে বাংলাদেশ ভালো করেছে। আমরা টিকা তৈরি করি না। যে সমস্ত দেশ টিকা উৎপাদন করে, তারা হয়তো আমাদের চেয়ে বেশি টিকা দিয়েছে। আমরা টিকা উৎপাদন না করলেও জোগাড় করেছি। আগামীতে আমরা আশা করছি আরও বেশি টিকা দিতে পারবো। যক্ষ্মা রোগ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে এখন মৃত্যুর হার অনেক কম। নিয়মিত ওষুধ খেলে যক্ষ্মা রোগ ভালো হয়। সুতরাং যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই এ কথা এখন আর প্রযোজ্য নয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইউএসএইডের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র‍্যান্ডি আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সিচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ইউএস অ্যাম্বাসেডর আর মিলার ও যক্ষ্মা হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আবু রায়হান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম।
×