ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে অস্ত্র ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

মুন্সীগঞ্জে অস্ত্র ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের মেঘনা তীরের চিতলিয়ায় দুটি স্বর্ণের দোকানে দুর্র্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সোমবার লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার, ব্যবহৃত স্পিডবোট ও অস্ত্রসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ৭ ডাকাত এবং ডাকাতির মাল কেনা এক ব্যবসায়ী। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিস্তল, ১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, একটি চাপাতি, ৬৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট। গ্রেফতারকৃতরা হলো শরীয়তপুরের জাজিরা থানার সোনার দেউল গ্রামের মৃত মোসলেম পেদার পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেন (৪৯), নড়িয়ার রাজারিশ্বা গ্রামের মোঃ জুলমত আলী মোল্লার পুত্র মোঃ বিল্লাল মোল্লা (৩০), পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের মৃত আসমত কবিরাজের পুত্র মোঃ আফজাল হোসেন (৪৭), মাদারীপুরের শিবচর থানার চর চান্দা গ্রামের আরব আলী হাওলাদারের পুত্র আরিফ হাওলাদার (২৫), আঃ রব মিয়া খার পুত্র মোঃ ফারুক খা (২১), চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার দুর্গাপুরের মৃত বাহর আলী প্রধানের পুত্র মোহাম্মদ আলী (৪০), ফরিদগঞ্জের উত্তর বিষ্ণুবন্দর গ্রামের মৃত অলি আহম্মেদ বেপারীর পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২)। এছাড়া ডাকাতির অবৈধ স্বর্ণ কেনার দায়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার বাহেরচর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস বেপারীর পুত্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম এক প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা জানান। পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির পরই অভিযানে নামে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযানে রবিবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও ঢাকা থেকে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির পরই ডাকাতদল মালামাল বিক্রি করে ফেলে এক দোকানদারের কাছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় ডাকাত কাটা সাব্বির ও স্বপনের কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিনসহ পিস্তল ও ১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ডাকাত মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ডাকাত আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে একটি চাপাতি, ডাকাত ফারুকের কাছ থেকে ১০ হাজার, আরিফের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এর আগেও তারা লঞ্চে ডাকাতিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার রাত আড়াইটায় চিতলিয়ায় দুটি স্বর্ণের দোকানে প্রায় ২০ জনের ডাকাত দল নদীপথে চিতলিয়া বাজারে এসে অস্ত্রের মুখে নিখিল বণিক এবং মনুনাগ স্বর্ণ শিল্পালয় থেকে অলঙ্কার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
×