ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পর সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ বিষয়টি জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে দেশের ই-কমার্স ব্যবসাকে তদারকি করার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করা হয়েছে। ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন আদালত। আদালত এই মামলার আদেশের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। শুনানিতে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, দেশের প্রত্যেকটি এলাকায়, প্রতিটি গ্রামে সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা চলছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণ দেয়ার নামে উচ্চ হারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন নিবন্ধন নেই তাদের। সাধারণ মানুষ এসব সুদের কারবারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও আকাশছোঁয়া। অনেক পরিবার অনিবন্ধিতভাবে গজিয়ে ওঠা এসব সমবায় সমিতি ও সুদ কারবারি থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা টানতে টানতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখের সামনে তারা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সারাদেশের অনিবন্ধিত সুদের সব ধরনের ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। রিটে ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে। গ্রাহকের অর্থ ফেরতের পদক্ষেপ চেয়ে লিগ্যাল নোটিস ॥ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়। ই-মেল ও ডাকযোগে সোমবার মানবাধিকার সংগঠন ল এ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুইজন গ্রাহকের পক্ষে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচারের বিষয়টি উল্লেখ করে জনস্বার্থে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এই নোটিস পাঠান। রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট \ দেশের ই-কমার্স ব্যবসাকে তদারকি করার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বাধন এই রিট দায়ের করেন।
×