ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডেডিকেটেড ৬ হাসপাতাল রোগীতে ভরা করোনা হাসপাতালেও চিকিৎসার তাগিদ

ডেঙ্গুই এখন বড় আতঙ্ক, রোগী বাড়ছে

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডেঙ্গুই এখন বড় আতঙ্ক, রোগী বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ যখন কমছে, তখন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। ঢাকায় সরকারী হাসপাতালগুলোর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল-গুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করার দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। কিছু কিছু করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীরও চিকিৎসা হচ্ছে জানিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, সব রোগীই চিকিৎসা পাচ্ছেন। তবে দেশে পুরোপুরিভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বতন্ত্র সংস্থা গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো হলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, কমলাপুরে রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, ২০ শয্যা আমিনবাজার সরকারী হাসপাতাল, মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল ও ৩১ শয্যা কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল। প্রায় সব হাসপাতালই রোগীতে পরিপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড হাসপাতাল)। চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী রশিদুন্নবী জনকণ্ঠকে বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকেই আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগীর প্রচণ্ড চাপ ছিল। রবিবারের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৬৮ জন। এর আগে শনিবারে ভর্তি ছিল ১৮৯ জন আর শুক্রবারে ছিল ১৫০ জন। মাসের শুরুতে ২০০ থেকে ২৫০ জন রোগী ভর্তি হলেও চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে অন্যান্য হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগী বেশিরভাগই আমাদের এখানে রেফার করে দিত। তবে এখন অন্যান্য হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হলেও এখানে মোট ১৩৮৮ রোগী ভর্তি আছে। যারা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। তাই আমরা বলব একজন রোগীও চিকিৎসা পাচ্ছে না এমন নয়। তবে যেহেতু করোনার সংক্রমণ কম আছে তাই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হওয়া খুবই জরুরী। করোনা ডেডিকেটেড হলেও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে বলে জানান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আয়েশা আক্তারও। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, দিন দিন আমাদের হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তি কমছে। তাই এখানে ডেঙ্গু রোগীও ভর্তি নিচ্ছি। আমরা চাই না কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাক। ঢাকা শিশু হাসপাতালের নথি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পাঁচ। জুনে এই সংখ্যা ১৪। জুলাইয়ে ১০৪ জন। আগস্টের প্রথম ২০ দিনে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩৩, যা আগের মাসের চেয়ে ২২৪ শতাংশ বেশি। সেখানে মোট ডেঙ্গু শনাক্তের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ হয় আগস্টে (প্রথম ২০ দিন)। ২৯ শতাংশ জুলাইয়ে। প্রায় ৪ শতাংশ জুনে। আর ১ দশমিক ৪০ শতাংশ জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শনাক্ত হয়।
×