ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন হন নারায়ণ

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন হন নারায়ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মিষ্টি বিক্রেতা নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে হত্যা করে বস্তাভরে ডাষ্টবিনে ফেলে দেয় হত্যাকারী। এ হত্যাকান্ডের চারদিন পর সিআইডি রাজু চন্দ্র শীল (৩০) নামে এক ব্যক্তির গ্রেফতার করে। এরপরই হত্যার রহস্য উম্মোচন হয়। সোমবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান। মুক্তা ধর জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের শহরের বিপণীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুমের নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, নারায়ণ নিজে মিষ্টি বানিয়ে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতেন। শহরের বিপণীবাগ মার্কেটের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলের (৩০) সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল নারায়ণের। পাওনা টাকা চাওয়ায় নারায়ণকে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করে পালিয়ে যান রাজু। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, পাওনা টাকা আদায়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজুর কাছে যান নারায়ণ। তিনি জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় দোকানের শাটার খুলে পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করতে দেখে বিপণীবাগ মার্কেটের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউল রাজুকে জিজ্ঞাসা করেন, এতো রাতে কী পরিষ্কার করছেন? তখন রাজু নৈশপ্রহরীকে জানান, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে তিনি দোকান পরিষ্কার করে পুরনো জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তা করে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে রাজুকে বস্তাটি বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরিফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশে গলির ভেতরে ডাষ্টবিলে ফেলে দিতে দেখেন ওই নৈশপ্রহরী। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্ত ধর জানান, বস্তা ফেলে রাজু আবারও দোকানে ফিরে আসেন। এরপর রাজু পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করেন। কিন্তু সেলুনের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ দেখে নৈশপ্রহরী দোকানের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনেন। এর মধ্যে রাজু দোকানের শাটার লাগিয়ে পালিয়ে যান। কৃষ্ণ এসে দেখেন মেঝেতে রক্তমাখা পানি। এছাড়াও সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝতে ও বালতির মধ্যে রক্তের দাগ রয়েছে। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা সিআইডির নজরে আসে। পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর মুক্তা ধরের নির্দেশনায় রাজুকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় অভিযান। পরে রবিবার রাতে সিলেট শহর থেকে অভিযুক্ত রাজুকে সিআইডি গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু সিআইডিকে জানায়, টাকা লেনদেনের কারণে তিনি নারায়ণকে হত্যা করেছেন। তবে কত টাকার লেনদেন ছিল সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
×