বহু নির্বাচনি অভীক্ষা
০১. লেন্টিসেল কোথায় অবস্থিত?
(ক) ফুলে (খ) পাতায়
(গ) কা-ে (ঘ) মূলে
উত্তর: (গ) কা-ে
০২. নিচের কোনটি উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যক কাজ?
(ক) শ্বসন (খ) ব্যাপন
(গ) ইমবাইবিশন (ঘ) সালোকসংশ্লেষণ
উত্তর: (ঘ) সালোকসংশ্লেষণ
০৩. মূলরোম এর প্রাচীর
(ক) ভেদ্য (খ) অভেদ্য
(গ) অর্ধভেদ্য (ঘ) ক্লোরোফিল যুক্ত
উত্তর: (ক) ভেদ্য
০৪. চিনির ঘন দ্রবণে কিসমিস ডুবিয়ে রাখলে কি হবে?
(ক) অন্ত: অভিস্রবণ
(খ) বহি:অভিস্রবণ
(গ) ইমবাইবিশন
(ঘ) ব্যাপন
উত্তর: (ক) অন্ত: অভিস্রবণ
০৫. পাতার আর্দ্রতা বজায় রাখে নিম্নের কোনটি?
(ক) বাষ্পমোচন (খ) ব্যাপন
(গ) অভিস্রবণ (ঘ) শোষণ
উত্তর: (ক) বাষ্পমোচন
০৬. উদ্ভিদ দেহে বিদ্যমান কলয়েড ধর্মী পদার্থ হল-
i. সেলুলোজ ii. স্টার্চ iii. জেলাটিন
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii (খ) ii ও iii
গ) i ও iii (ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ) i, ii ও iii
০৭. অভিস্রবণকে ব্যাপনও বলা যায়, কারণ-
i. দ্রাবক উচ্চ ঘনত্বের এলাকা থেকে নিম্ন ঘনত্বের এলাকার দিকে যায়
ii. ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত চলে।
iii. কম ঘনত্বের দ্রবণ হতে দ্রাবক বেশি ঘনত্বের দ্রবণ এ প্রবেশ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii (খ) ii ও iii
গ) i ও iii (ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ) i, ii ও iii
০৮. উদ্ভিদের পরিবহন টিস্যু-
i. জাইলেম ii. ফ্লোয়েম iii. মাসকুলার
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii (খ) ii ও iii
গ) i ও iii (ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ক) i ও ii
০৯. উদ্ভিদের মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি পাতায় পরিবাহিত হয় কোনটির মাধ্যমে?
(ক) জাইলেম (খ) ফ্লোয়েম
(গ) কিউটিকল (ঘ) ভাজক টিস্যু
উত্তর: (ক) জাইলেম
১০. কোনটি উদ্ভিদের একটি বিশেষ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া?
(ক) অভিস্রবণ (খ) ব্যাপন
(গ) শোষণ (ঘ) বাষ্পমোচন
উত্তর: (ঘ) বাষ্পমোচন
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
০১. সক্রিয় শোষণ কী?
উত্তর : যে পরিশোষণ প্রক্রিয়ায় কোনো বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে সক্রিয় পরিশোষণ বলে।
০২. নিষ্ক্রিয় শোষণ কী?
উত্তর : যে পরিশোষণ প্রক্রিয়ায় কোনো বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় না তাকে নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ বলে।
০৩, ইমবাইবিশন কী?
উত্তর: কলয়েড ধর্মী বিভিন্ন পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের তরল পদার্থ শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে।
০৪. ডিফিউশন কী?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কোনো পদার্থ (কঠিন,তরল বা বায়বীয়) স্বতঃস্ফুর্তভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়াকে বলা হয় ডিফিউশন বা ব্যাপন।
০৫. কোষরস কী?
উত্তর: কোষ মধ্যস্থ পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ কে একত্রে কোষরস বা ঝধঢ় বলে।
০৬. রস উত্তোলন কী?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের শোষণ অঞ্চল থেকে রস উথিত হয়ে বায়বীয় অঞ্চলের সকল স্থানে পৌঁছায় তাকে রস উত্তোলন বলে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন-১। নিম্নলিখিত চিত্রের আলােকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
একটি পরীক্ষার সরঞ্জামাদী
ক. বাষ্পমোচন কী?
খ.পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষণ এর মধ্যে দুটি পার্থক্য দাও।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রের অভেদ্য পর্দাটি খুলে দেয়া হলে কি হবে? চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় সময় অতিবাহিত হওয়ার পর পানির উচ্চতায় কী রকম পরিবর্তন আসবে? চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
১নং প্রশ্নের (ক) উত্তর
উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে বাষ্পাকারে পানি নির্গমনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় বাষ্পমোচন।
১নং প্রশ্নের (খ) উত্তর
নিম্নে পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষণ এর মধ্যে দুটি পার্থক্য দেয়া হলো।
১নং প্রশ্নের (গ) উত্তর
পানি
খনিজ লবণ
১. পানি অনু হিসেবে শোষিত হয়।
১. খনিজ লবণ আয়ন হিসেবে শোষিত হয়।
২. অধিকাংশ পানি নিষ্ক্রিয়ভাবে পরিশোষিত হয়।
২. খনিজ লবণ সক্রিয়ভাবে পরিশোষিত হয়।
আমরা জানি, একই তাপমাত্রা ও বায়ুমন্ডলীয় চাপে কোনো পদার্থের অধিকতর ঘন স্থান থেকে কম ঘন স্থানে বিস্তার লাভ করার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।
[চিত্রঃ ব্যাপনের কয়েকটি ধাপ]
উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রের অভেদ্য পর্দাটি খুলে দেয়া হলে ব্যাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে কারণ টিউবে রাখা পানির মধ্যে কিছু চিনির দানা যোগ করা আছে। টিউবটির যে প্রান্তে চিনির দানাগুলো প্রাথমিকভাবে আছে, সেখানে চিনির অণুর ঘনত্ব বেশি এবং পানির অণুর ঘনত্ব কম। অন্যদিকে যেখানে চিনির দানা নেই সেখানে চিনির অণুর ঘনত্ব কম, কিন্তু পানির অণুর ঘনত্ব বেশি। তাই ব্যাপনের নিয়ম অনুসারে, চিনির অণুগুলো বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে আস্তে আস্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। একইভাবে, পানির অণুগুলো বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে আস্তে আস্তে কম ঘনত্বের স্থানে ছড়িয়ে পড়বে। দ্রবণটির সব জায়গায় চিনির অণুর ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত এইভাবে ব্যাপন প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।
১ নং প্রশ্নের (ঘ) উত্তর
আমরা জানি, বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লী দিয়ে কেবল দ্রাবক পদার্থের অণুই অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় হালকা ঘনত্বের দ্রবণ
থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণে ব্যাপিত হয়, কিন্তু দ্রব অণু সহজে ব্যাপিত হয় না।
(চিত্রঃ বৈষম্যভেদ্য পর্দার উপস্থিতিতে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া)
টিউবটির ইউ মাঝামাঝি অর্ধভেদ্য পর্দা থাকায় অভিস্রবণ ঘটবে কারণ আমরা জানি অর্ধভেদ্য পর্দা হল, যে পর্দা দিয়ে কেবল দ্রবণের দ্রাবক অনু (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পানি) চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রব অনু চলাচল করতে পারে না তাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলে। অই প্রান্তের দিকে যে দ্রবণ থাকে সেটিতে চিনির ঘনত্ব বেশি থাকে। অন্যদিকে, ঝিল্লীর ঈউ প্রান্তের দিকে দ্রবণের ঘনত্ব কম থাকে (এইক্ষেত্রে ঘনত্ব প্রায় শূন্যের কাছাকাছি)। তাই পানির অণু ঝিল্লীর ঈউ প্রান্ত থেকে ইউ প্রান্তের দিকে ব্যাপিত হবে। কিন্তু চিনির অণু (দ্রব) এই বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লী দিয়ে ব্যাপিত হতে পারবে না। চিনির অণুগুলো ঝিল্লীর অই প্রান্তেই থেকে যাবে এবং এই অংশেই ব্যাপিত হবে। যেহেতু অই প্রান্ত থেকে ঈউ প্রান্তের দিকে কোনো কিছুই ব্যাপিত হয় না এবং শুধুমাত্র ঈউ প্রান্ত থেকে পানি অই প্রান্তে ব্যাপিত হয়, সেহেতু অই প্রান্তে পানির উচ্চতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে এবং ঈউ প্রান্তে পানির উচ্চতা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে।