স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে প্রবল স্রোতের কারণে ৩৩দিন ধরে বন্ধ ফেরি সার্ভিস। বাংলাবাজারের বিকল্প মাঝিরকান্দিতে ২৫ দিন আগে ঘাট তৈরি হলেও নাব্য সঙ্কটে ফেরি চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ পথে চলাচলকারীরা। প্রবল স্রোতের কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি পদ্মা সেতু এড়িয়ে চলতে গত ২৬ আগস্ট মাঝিরকান্দি ঘাট প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু নাব্য সঙ্কটে সেটিও চালু করা যায়নি।
ফেরি বন্ধের কারণে যাত্রী বিড়ম্বনার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর নদী পারাপারে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় যাত্রীরা আতঙ্কিত। অন্যদিকে রাতে পদ্মা পাড়ি দেয়া একেবারেই বন্ধ। এ অবস্থায় কবে ফেরি চালু হবে তাও নিশ্চিত করতে পারেনি বিআইডব্লিউটিসি। সংস্থাটির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানান, স্রোত আরও কমলেই ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে এটি চলতি মাসের শেষ দিকে গিয়ে চালু হতে পারে। বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলেয়মান বলেন, পদ্মা সেতু এলাকায় এখন স্রোতের গতি সর্বোচ্চ প্রতি সেকেন্ডে ২ দশমিক ১০ মিটার। এবারের বর্ষায় এই স্রোতের সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩ দশমিক ৩০ মিটার। পদ্মায় পানির বিপদসীমার লেভেল ৬ দশমিক ১০ মিটার, এখন রয়েছে ৪ দশমিক ৫১ মিটার। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চলাচলকারী লঞ্চের মাস্টাররা বলছেন, পদ্মার স্রোত এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।