তৃণমূল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ ॥ তথ্যমন্ত্রী

সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাদের কারণেই দল আজ এতদূর এসেছে। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে যারা আওয়ামী লীগ করছেন, তারা কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃসময় দেখেনি। তাই সঠিক নেতৃত্ব, দেশ এবং মানুষের স্বার্থে আওয়ামী লীগের এই অতিথি পাখিদের প্রতিহত করতে হবে। তাছাড়া এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। এখন খালি পায়ে কেউ হাঁটেন না, না খেয়েও কেউ থাকেন না। দেশের সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা আজ অনেক উন্নতি হয়েছে। এছাড়া দেশের উন্নয়ন ও অবকাঠামোরও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তবে এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার আর তার নেতৃত্বে। রবিবার দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে দলের দুর্দিনে, বিশেষ করে ২০০৭ সালে যখন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন আমাদের অনেক নেতা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপোস করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ও অবিচল ছিলেন। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই জননেত্রী শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। আজ তাদের কারণেই আওয়ামী লীগ সফলতার সঙ্গে এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। প্রত্যেককে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে অতীতের মতো আগামী দিনেও দলকে আরও এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীসহ অপকর্মে জড়িত যারা, তাদের কোন স্থান নেই আওয়ামী লীগে। দলের ত্যাগী, পরিশ্রমী ও দুর্দিনের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। তবে যারা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাসহ সজাগ থাকতে হবে দলের নেতাকর্মীদেরই। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উত্তরাঞ্চল সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহামুদ হাসান রিপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর জামান রিংকু এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর এসকেএসইন-এ জেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সড়ক পথে বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান।