অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর ৫০তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে ভালোবাসায় স্মরণ করছেন চিত্রনায়িকা শাবনূর; ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসা বাংলা চলচ্চিত্রের এ জুটি দর্শকের হৃদয়ে এখনও অমলিন।
নব্বইয়ের দশকের ঢাকাই সিনেমার সুপার স্টার সালমান শাহ বেঁচে থাকলে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করতেন রবিবার; বিশেষ এ দিনে এক ভিডিওবার্তায় তাকে স্মরণ করেছেন শাবনূর। পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও তাদের কাছাকাছি এনেছিল।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে শাবনূর বলেন, সালমান শাহ-এমন একটি নাম, যার সাথে জড়িয়ে আছে একটি সোনালী সময়। তার জীবনের অতি অল্প সময়টুকু অগণিত ভক্তদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। প্রতিবছর এই দিনে কোটি ভক্তের হৃদয় আলোড়িত করে সালমান শাহ ফিরে আসেন ক্ষণিকের জন্য। অকাতর ভালোবাসার অঞ্জলি নিয়ে ফিরে যান অযুত নক্ষত্রের ভিড়ে। যেখানেই আছো, ভালো থেকো।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান।
২৫ বছরেও তার মৃত্যুর মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তিন দফা তদন্তের পর এ চিত্রনায়কের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলা হলেও তা মানতে রাজি নন তার পরিবার। তার মায়ের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।
সিলেটে জন্ম নেওয়া এ অভিনেতা ১৯৯৩ সালে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয়ের তিন বছরের ব্যবধানে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার মধ্যে ১৪টি সিনেমায় তার নায়িকা ছিলেন শাবনূর। আলোচিত এ জুটির সিনেমাগুলো হলো- ‘রঙিন সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ ও ‘আনন্দ অশ্রু’।
রোমান্টিক জুটি হিসেবে পরিচিত সালমান-শাবনূরের প্রেম নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে; তবে শাবনূর প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেননি। বর্তমানে ছেলে আইজান নেহানকে নিয়ে অস্টেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
সালমান শাহর মৃত্যুর মামলার সর্বশেষ তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ আর স্ত্রী সামিরা হকের কারণে মা নিলুফা চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরীকে ছেড়ে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।