ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের সমুদ্ররেখা নিয়ে আপত্তি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের চিঠি

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভারতের সমুদ্ররেখা নিয়ে আপত্তি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে জয়লাভ করেবাংলাদেশ। এরপর আদালত সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও সমুদ্রসীমা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। এ নিয়ে জাতিসংঘে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ। ১৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে, ১৯৭৬ সালে ভারত সরকার সমুদ্রবিষয়ক টেরিটোরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোন আইন প্রণয়ন করে। এই আইন প্রণয়নের ৩৩ বছর পর ২০০৯ সালে ভারত ভিত্তিরেখা নির্ধারণের জন্য সেই আইনে সংশোধনী আনে। ২০০৯ সালের সংশোধনীতে ভারত ‘স্ট্রেট লাইন বেসলাইন’ পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যেটা জাতিসংঘের সমুদ্র আইনবিষয়ক কনভেনশনের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী। এর আগে বাংলাদেশের দাবি করা মহীসোপান নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেয় ভারত। দেশটি দাবি করে, সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশ যেই মহীসোপান নিজেদের বলে দাবি করছে তা ভারতের অংশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘে আপত্তি তুলে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। সেখানে বলা হয়, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালত যে রায় দিয়েছে, তা অনুসরণ করেই মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ। ফলে সেই রায়ের পর দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে আর কোনো বিরোধ থাকতে পারে না। ২০১১ সালে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে জাতিসংঘের মহীসোপান নির্ধারণ বিষয়ক কমিশনে আবেদন করে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে জয়লাভ করে।
×