ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশুলিয়ায় গৃহকর্মী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার দুদিন পর মামলা, আটক ১

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

আশুলিয়ায় গৃহকর্মী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার দুদিন পর মামলা, আটক ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার ॥ সাভারের আশুলিয়ায় গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার দুদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় মামলা নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করলেও আরও দুজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার আশুলিয়া থানাধীন মধ্য গাজীরচট এলাকায় ঘটেছে। বিষয়টি শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং এর পরপরই মামলাটি রেকর্ড করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে’। যদিও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস জানিয়েছেন তারা মঙ্গলবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পর মঙ্গলবার রাত ২টা নাগাদ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলাম। তবে মূল বিষয়টি খানিকটা ভিন্ন। মূলত ভুক্তভোগী নারী ৫০০ টাকার বিনিময়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন, পরে তারা উভয়ই দেলোয়ারের স্ত্রীর হাতে ধরা পড়ার পর ওই নারীকে নির্যাতন করা হয়। তাছাড়াও ওই নারীকে অভিযুক্তরা চিকিৎসা বাবদ ৮ হাজার টাকা দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে আরও ৭ হাজার টাকা দিবে বলেছিল। একজন নারীকে পাশবিকভাবে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়ার পরেও কেন পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আসলে আমরা পরে আর ওই ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তাছাড়া মূল বিষয়টি তো ভিন্ন, পাশাপাশি ওই নারী চিকিৎসার জন্য টাকাও নিয়েছে। এদিকে এসআই ইউনুসের বক্তব্য অস্বীকার করে আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা নিয়েছি এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআই ইউনুস জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবারই অভিযোগটি পেয়েছেন এমন প্রশ্ন করা হলে ওসি ফোনের সংযোগটি কেটে দেন। অন্যদিকে ভুক্তভোগীর স্বামী অভিযোগ করে জানান, গৃহস্থালীর কাজের কথা বলে গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী লিপি বেগম তার স্ত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় লিপি ও লিমা নামে দুই নারী বাড়ির বাইরে গেলে অভিযুক্ত গৃহকর্তা দেলোয়ার তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে লিপি ও লিমা নামে অভিযুক্ত দুই নারী ফিরে এসে ভুক্তভোগী নারীকে পাশবিকভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর মঙ্গলবার আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তাদের মামলা গ্রহণ করেনি। বরং আশুলিয়া থানার এসআই ইউনুস ভুক্তভোগীকে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই ইউনুস বলেন, আমি কাউকে মীমাংসার কথা বলিনি। তারা নিজেরাই চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছে, আমি সেই টাকা হাত দিয়েও ধরিনি।
×