ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল সম্মেলনে সমর্থন কামনা টিপু মুনশির

এলডিসি উত্তরণের পরও ১২ বছর বাণিজ্য সুবিধা চাই

প্রকাশিত: ২২:০২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

এলডিসি উত্তরণের পরও ১২ বছর বাণিজ্য সুবিধা চাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সহজ উত্তরণের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় ট্রেড প্রিফারেন্সের জন্য ১২ বছর সময় বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা সকল পক্ষকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, ট্রিপস ওয়েভার কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন অর্জন করেছে। ডব্লিউটিও ‘হংকং মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা এবং ‘নাইরোবি মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী এলডিসির জন্য প্রিফারেন্সিয়াল রুলস অব অরিজিন উন্নত দেশসমূহকে প্রদান করতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত উন্নয়নে আঙ্কটাডকে কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। কোভিড-১৯ এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্জিত অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে যাচ্ছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে জেনেভার ইউনাইটেড নেশান্স অফিসের আঙ্কটাড সচিবালয়ের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বাণিজ্যমন্ত্রীগণের ভার্চুয়ালি সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তৃতা প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ এর অভিঘাত, ডিজিটাল ডিভাইড, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবিলার জন্য চলমান ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম) সমূহসহ যুগোপযোগী আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে টেকনোলজি ট্রান্সফার এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাঠামোগত সহায়তা দিতে হবে। আগামীতে অনুষ্ঠেয় আঙ্কটাড-১৫, এমসি-১২, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন ওএলডিসি-৫ সম্মেলন ও কার্যক্রমসমূহে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এলডিসি ও গ্র্যাজুয়েটিং এলডিসির স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়সমূহ কার্যকরভাবে উপস্থাপনের জন্য আঙ্কটাডকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। উল্লেখ্য, আঙ্কটাড জাতিসংঘের আন্তঃরাষ্ট্রিক একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে নীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আগামী ৩ থেকে ৭ অক্টোবর আঙ্কটাড-এর ১৫তম অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ পরবর্তী এ অধিবেশন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আঙ্কটাডের অধিবেশনে কোভিড প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ট্রেড, ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি সহযোগিতাসহ আগামী দশ বছরের জন্য এ্যাকশন প্ল্যান (২০২২-৩১) আলোচিত হবে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে উক্ত অধিবেশনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীগণের এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্মেলনের হোস্ট মালাওয়ির বাণিজ্যমন্ত্রী এবং আঙ্কটাডের সেক্রেটারি জেনারেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এলডিসি বাণিজ্য মন্ত্রীগণের সম্মেলনে বাংলাদেশের সকল প্রস্তাবসহ একটি ‘মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ ঘোষিত হয়।
×