ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ থাকার প্রমাণ নেই ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ থাকার প্রমাণ নেই ॥ তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ থাকার কোনো ‘প্রমাণ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মিন্টোরোডে নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, জিয়ার লাশ কেউ দেখেননি। আমি রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, যেখানে জিয়াকে প্রথম সমাহিত করা হয় বলে বিএনপি দাবি করে। “রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তখনকার চেয়ারম্যান জহির সাহেব এখনও জীবিত। তিনি বলেছেন, তিনটি লাশ সেখান থেকে তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না। এরশাদ সাহেব এবং জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মীর শওকত, দুজনেই বলেছেন, তারা কেউ জিয়ার লাশ দেখেননি।” চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে কবর সরানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, লাশ ছাড়া কবর দাবি করা যেমন জনগণের সাথে প্রতারণা, তেমনি ইসলামের নিয়ম-নীতিবিরুদ্ধ। লাশ ছাড়া কবর রাখার কোনও কারণ আছে কি না, সেটিই জনগণের প্রশ্ন। জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত ২৮ অগাস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সাবেক এই সামরিক শাসকের কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ঘটনার আগের দিন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরোধ মেটাতে চট্টগ্রামে যান তিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদের একাধিক বৈঠকেও জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবরসহ লুই আই কানের নকশাবহির্ভূত সব স্থাপনা সরানোর বিষয়ে কথা ওঠে। আওয়ামী লীগ ‘চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য’ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ‘নির্যাতন করছে’ অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ তা ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী, পেট্রলবোমা নিক্ষেপকারী বা ফৌজদারি অপরাধের আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি বিএনপি অপরাধীদের পক্ষ নেয়, তাহলে তো দেশে কোনো ফৌজদারি আইনই কার্যকর করা যাবে না, বিচারও থাকবে না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পেট্রলবোমা দিয়ে জীবন্ত, ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী, অবরোধের নামে মানুষকে অবরুদ্ধকারী বিএনপির সঙ্গে তো জনগণের থাকার কথা নয়। বিএনপি নিজেরাই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।
×