ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অডিও কথপোকথন ফাঁস

ঠাকুরগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায়

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঠাকুরগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এলাকার একাধিক মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে আলিয়ারা খাতুন নামে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারী অভিযুক্তদের বিচার ও অর্থ ফেরত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং তরিকুলসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম হরিপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের তারবাগান গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিমের ব্যক্তিগত কর্মচারী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিমের ব্যক্তিগত কর্মচারী হওয়ার সুবাদে উপজেলার ৫নং হরিপুর ইউনিয়নের জীবনপুর (কুশগাঁও) গ্রামের আলিয়ারা খাতুন নামের স্বামী পরিত্যক্ত এক মহিলার কাছ থেকে ৬০ হাজার ও একই ইউনিয়নের বজ্রমতুলি গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে রিনা আক্তারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকাসহ একাধিক মানুষের কাছ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আলিয়ারা খাতুন নামে এক নারী লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নের বজ্রমতুলি গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে রিনা আক্তারের কাছ থেকে গত ৭ মাস আগে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ড কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ হলে তার টাকা নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তারবাগান ও বজ্রমতুলি এলাকার একাধিক মানুষের কাছে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামের কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার ফোনালাপের রেকর্ড এর কথা বললে তিনি কৌশল অবলম্বন করে বলেন, আমি রিনা আক্তারের কাছ থেকে ধার হিসেবে ২০ হাজার টাকা নিয়েছি। টাকা নেওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সারোয়ারদী জানেন। তবে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সারোয়ারদী বলেন, তাদের মধ্যে টাকা দেওয়া ও নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিমের সাথে কথা বলতে শুক্রবার সকাল ১১টা ২৫ থেকে ২৭ মিনিটে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
×