ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীর চার সেতুতে লাইট পোস্টে আলো নেই

প্রকাশিত: ১৬:০০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

পটুয়াখালীর চার সেতুতে লাইট পোস্টে আলো নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লাউকাঠী, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতুতের লাইট পোস্ট থাকলেও আলো জ্বলে না। এছাড়াও লাউকাঠি সেতুতে পায়ে হাঁটার পথের স্লাব গুলিও ভাঙ্গা থাকায় এই পথে চলাচলকারী মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে স্থানীয়রা সড়ক ও জনপথ বিভাগে দফায় দফায় অবহিত করলেও কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে লাউকাঠী নদী। নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পটুয়াখালী জেলা শহর। উত্তর প্রান্তে সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন। দৈনন্দিন কাজে লাউকাঠী, ইটবাড়িয়া ও বদরপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে পায়ে হেটে সেতু পারাপার করতে হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন এই পথ দিয়েই পটুয়াখালী এবং কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের যানবাহন গুলো চলাচল করে। তবে ব্রীজের পায়ে হাটার পথের কংক্রিটের স্লাব গুলো ভাঙ্গা থাকায় এবং রাতে ব্রীজের লাইট পোস্ট গুলোতে লাইট না থাকায় অনেকটা ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। অপরদিকে জেলার কলাপাড়া উপজেলা থেকে কুয়াকাটার শিববাড়িয়া নদী পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের মধ্য শহীদ শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতু ২০১৬ সালের ২৫ শে মার্চ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের কয়েক বছর যেতে না যেতেই ব্রীজের সোলার লাইট গুলো নষ্ট হয়ে যায়। সেতুতে লাইট না থাকায় অনেকটা ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হয় দুই পাড়ের মানুষকে। রাতে ব্রীজে এক ভুতুরে পরিবেশ তৈরী হয়, আড্ডায় জমায় বখাটেরা। এ ব্যপারে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোহাম্মদ কামরুল হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন সময় ব্রীজে আলোর ব্যবস্থা করলেও রাতের আঁধারে লাইট এবং তার চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যার তৈরী হচ্ছে। তবে কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় সে বিষয়ে উর্দ্ধোত্বন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তারা উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
×