ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে টয়লেট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, দুই নারী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাদারীপুরে টয়লেট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, দুই নারী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে অপহরণের ৩ দিন পর চাচার নির্মাণাধীন ভবনের টয়লেটের মেঝের মাটি খুঁড়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর আপন বড় চাচী নার্গিস আক্তার (৩৫) ও তার মেয়ে হাফসা আক্তার (১৪) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। নার্গিস আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার এবং স্থান দেখিয়ে দিলে আজ শুক্রবার ভোরে ২ বছর ৪ মাসের শিশুটির লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়, পারিবারিক ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, শিবচর কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ওহাব বেপারির বড় ছেলে আবুল হোসেন বেপারির মৃত্যুর পর তার স্ত্রী নার্গিস ২ ছেলে মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি পাশ্ববর্ত্তী শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় বসবাস করছেন। স্বামী পীরের বাড়িতে গিয়ে মারা গেলেও নার্গিস এ মৃত্যুর জন্য শ্বশুরসহ ওই বাড়ির লোকদের দায়ী করতো। স্বামীর মৃত্যুর পর নার্গিস তার দেবর ইসমাইল বেপারিকে বিয়ে করতে চাইলে পরিবার এতে রাজী হয়নি। মঙ্গলবার ওহাব বেপারির বাড়িতে বেড়াতে আসে নার্গিস আক্তারের মেয়ে হাফসা আক্তার। পরদিন বুধবার সকালে তার মা নার্গিস আক্তার ফোন দিলে মেয়ে হাফসা বাড়িতে রওনা করে। বাড়ি যাওয়ার আগে হাফসা তার চাচা ইসমাইল বেপারির স্ত্রী ময়না বেগমের কাছ থেকে তার একমাত্র শিশু সন্তান কুতুবউদ্দিনকে কোলে নেয়। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হাফসা কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে সটকে পড়ে। ভাবির বাড়িতে গিয়ে তাদের তাদের কাউকে না পেয়ে ইসমাইল বেপারি শিবচর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে শিবচর থানার একাধিক টিম মাঠে নামে। এক পর্যায়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সিসিটিভি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় হাফসা কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে তার মা নার্গিসের কাছে দেয়। নার্গিস শিশুটিকে কাপড়ে ঢেকে সটকে পরে। কিন্তু কোন কিছুতেই নার্গিস বিষয়টি স্বীকার করছিল না। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর নার্গিস তার নির্মাণাধীন বাড়ির টয়লেটের মাটির নীচে শিশুটিকে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করে। পুলিশ নার্গিসকে নিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে তার ঘরের টয়লেটের মেঝেতে পুতে থাকা অবস্থায় কুতুবউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
×