রাজকুমারের মতো স্বপ্নে থাকে যে এক কুমার
হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় পঙ্খিরাজে এসে
নিয়ে যায় মেঘ ছুঁয়ে দূর কোনো দেশে;
ক্রমে পেছনে সরে যায় সাগর নদী অরণ্য পাহাড়,
ভাসে না দু’জনের কারো চোখে আর দিকচক্রবাল-
আশ্চর্য সেই এক পৃথিবীর সীমাহীন পথে
শুরু যদি যাত্রার, তুমিই তবে সেই কুমার?
রাজকন্যা নই, কিন্তু রাধার বৃত্তান্ত আমি জানি!
জানি, শ্যামের বাঁশি কার জন্য বাজাতো মরমিয়া সুর!
স্বর্ণ-চন্দনে এঁকে দেবো ও গৌর কপাল
তিলকের মূল্যটুকু শুধু যদি রাখো হে কুমার!
কী সাধে জোছনার সুধা পান করে চকোর
প্রতিকলা ক্ষয়ে, বারবার জন্মেও জানে না মুগ্ধ চাঁদ;
জানে না চন্দ্ররেণু মগ্ন ওই নক্ষত্র জড়ানো আকাশ।
কিন্তু তুমি জেনেছো, আমার সমস্ত কবিতাজুড়ে বিচরণ তোমার,
তাই কুমার, এটুকুও জেনে যাও, একটি ফুল কখনোই ফোটে না দু’বার!
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: