ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শামীমা বেগম সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্রিটিশ সরকারকে সহায়তা করতে চান

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

শামীমা বেগম সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্রিটিশ সরকারকে সহায়তা করতে চান

অনলাইন ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মেয়ে শামীমা বেগম বলছেন তিনি ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়ার জন্য বাকি জীবন গ্লানি বোধ করবেন - এবং এখন তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্রিটিশ সরকারকে সহায়তা করতে চান। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রিটেন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছিলেন শামীমা। শামীমা বেগম বুধবার সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবির থেকে বিবিসি, বিবিসি ফাইভ লাইভ এবং আইটিভিকে পৃথক সাক্ষাৎকার দেন। বিবিসির রিপোর্টার জশ বেকারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন শামীমা বেগম বলেন, আইএসে যোগ দেবার কথা মনে পড়লে তিনি অসুস্থ বোধ করেন, নিজের প্রতি ঘৃণা বোধ করেন - এবং এখন তার প্রকৃত অনুভূতি প্রকাশ করতে পেরে তিনি স্বস্তি বোধ করছেন। "আমি আমার বাকি জীবন এ জন্য দুঃখ বোধ করবো। আপনি আমার মুখে তার ছাপ দেখতে পান বা না পান - এটা আমাকে ভেতর থেকে মেরে ফেলছে। এ জন্য আমি ঘুমাতে পারি না"- বলেন তিনি। "আইএস মানুষের জীবন নষ্ট করেছে, আমার ও আমার পরিবারের জীবন নষ্ট করেছে।" শামীমা বেগম ব্রিটিশ জনগণ এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে ব্রিটেনে ফেরার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। আত্মঘাতী বোমায় সাহায্যের কথা অস্বীকার : সাক্ষাৎকারে আইটিভির উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গীদের গায়ে তিনি বোমার বেল্ট সেলাই করে বেঁধে দিয়েছেন এমন অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে তিনি কী বলবেন। উত্তরে শামীমা বেগম বলেন, এরকম কাজ তিনি কখনো করেননি। শামীমা বেগম বলেন, তিনি একমাত্র কোন অপরাধ যদি করে থাকেন, সেটি হচ্ছে আইএসে যোগ দেয়ার মতো বোকামি করা। 'বাংলাদেশে যেতে চাই না' জবাবে শামীমা বেগম বলেন, তিনি জীবনে কখনো বাংলাদেশে যাননি, বাংলাদেশি নাগরিকত্বের কোন অধিকার তার নেই। আর বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে সেখানে যেতে দেয়া হবে না এবং গেলে তাকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্ক: শামীমা বেগমের এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পর তাকে ব্রিটেনে ফিরতে দেয়া উচিৎ কি উচিৎ নয় , তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেল কারউড নামে একজন টুইটারে মন্তব্য করেন: "আমি তার একটা কথাও বিশ্বাস করতে পারছি না। তার দেহের ভঙ্গিমার সঙ্গে তার কথার কোন মিল নেই।" কিম লান্ড নামে এক নারী মন্তব্য করেছেন ,"একজন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞের মত জানা দরকার - যেভাবে সে বার বার তার মুখ আর চুল স্পর্শ করছিল, তাতে মনে হচ্ছিল সে খুবই অস্বস্তিতে আছে। তার একটি শব্দও আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তাকে মোটেই ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়া উচিৎ হবে না।" সূত্র : বিবিসি বাংলা
×