ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ পুনর্তফসিল ৩ বারের বেশি নয়

প্রকাশিত: ২২:৪১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ পুনর্তফসিল ৩ বারের বেশি নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) এখন থেকে তিনবারের বেশি কোন ঋণ পুনর্তফসিল করতে পারবে না। আর তৃতীয় দফা পুনর্তফসিলের পরও যদি কোন গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি পুনর্তফসিল করা ঋণের যে পরিমাণ অর্থ আদায় হবে তার বিপরীতে সুদ শুধুমাত্র আয় খাতে নেয়া যাবে। এনবিএফআই-এর জন্য গত মঙ্গলবার ঋণ পুনর্তফসিল বিষয়ে নীতিমালা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই না করেই বারবার ঋণ পুনর্তফসিল করছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। পরিশোধসূচী পুনর্নির্ধারণ এবং যথাযথভাবে পুনর্তফসিল প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের আদায়ের প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেবলমাত্র বিরূপমানে শ্রেণীকৃত (নিম্নমান, সন্দেহজনক ও ক্ষতিজনক) ঋণ পুনর্তফসিল করতে পারবে। ঋণ নিয়মিত করার প্রতি পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত হারে ডাউনপেমেন্ট নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, কোন মেয়াদী ঋণ নিম্নমান থাকা অবস্থায় প্রথম দফায় ৪৮ মাস, দ্বিতীয় দফায় ৩৬ মাস ও তৃতীয় দফায় ২৪ মাসের জন্য পুনর্তফসিল করা যাবে। আর সন্দেহজন বা মন্দ মানে শ্রেণীকৃত অবস্থায় পুনর্তফসিলের ক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৩৬ মাস, দ্বিতীয় দফায় ২৪ মাস ও তৃতীয় দফায় ১৮ মাসের জন্য পুনর্তফসিল করা যাবে। স্বল্পমেয়াদী ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বা সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধের পর প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য পুনর্তফসিল করা যাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৬ মাস করে নিয়মিত করতে পারবে এনবিএফআইগুলো। ডাউনপেমেন্টের বিষয়ে বলা হয়, প্রথম দফা ঋণ পুনর্তফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী উভয় ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ১০ শতাংশের মধ্যে যা কম, সেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ৩০ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ২০ শতাংশের মধ্যে যা কম, তা দিতে হবে।
×