ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফেরি জোয়ারে বন্ধ, ভাটায় চলে ॥ চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২২:১৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফেরি জোয়ারে বন্ধ, ভাটায় চলে ॥ চরম দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ চরম দুরবস্থার শিকার হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রামনাবাদ নদীর গলাচিপা-হরিদেবপুর ফেরি। এটি জোয়ারে বন্ধ আর ভাটায় চালু হয়। বহুদিন ধরে চলছে এ অবস্থা। এতে ফেরি পারাপার জনদুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা-হরিদেবপুর ফেরি একটি ব্যস্ততম ঘাট। এ ঘাটটি পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র পথ। এ ফেরিঘাট থেকে এসব রুটে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি অনেকটা প্রকৃতিনির্ভর হয়ে পড়েছে। নদীতে উঁচু জোয়ারের প্রভাব হলেই ডুবে যাচ্ছে গ্যাংওয়ে ও সংযোগ সড়ক। ফলে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ নদীতে জোয়ার চলে, ততক্ষণই বন্ধ থাকছে ফেরি। দেখা গেছে এভাবে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টার বারো ঘণ্টাই বন্ধ থাকছে ফেরি। আবার এ অবস্থা প্রতিমাসে অন্তত ১৫-১৬ দিন ধরে চলে। ফেরি বন্ধের সময়টাতে যানবাহন নিয়ে ড্রাইভারদের অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে যানবাহন ভাড়াও। জোয়ারের সময় সরেজমিন দেখা যায়, ফেরিঘাটের চারপাশে পানি আর পানি। ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে আছে। সংযোগ সড়কও ডুবে আছে। ঘাটের দুইপাড়ে অপেক্ষমাণ পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্সগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে কখন ভাটা হবে, পানি নেমে যাবে, সে আশায়। পিকআপ চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জোয়ারের সময় আমরা পিকআপ পারাপার করতে পারি না। জোয়ারের পানি না কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কারণ জোয়ারের পানিতে গাড়ি ডুবে যায়। এ্যাম্বুলেন্স চালক আল-আমীন বলেন, রোগী নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় রোগী মারা যায়। এটি একটি চলমান সমস্যা। এ বিষয়ে ইজারাদার শিবু লাল দাস বলেন, একটু জোয়ার হলে গলাচিপার গ্যাংওয়ে ও ফেরিঘাটটির সংযোগ সড়ক তলিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষকে জানালে কিছুটা কাজ হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে আবার একই অবস্থায় ফিরে যায় ফেরিঘাট। বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, এ ব্যাপারে আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। গত বছর একবার সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে সংষ্কার করা হচ্ছে, তাতে কোনভাবেই স্থায়ী সমাধান মিলছে না।
×