ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তাসলিমা সুলতানা

শুভ সূচনা

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

শুভ সূচনা

শ্রেণীকক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করায় শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারে এমন আশঙ্কার জায়গা থেকে দীর্ঘ বিরতির পরে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দূরশিক্ষণে অনেক শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকের ডিজিটাল যন্ত্র এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও নেই। উত্তরার একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী আমাকে বলে, ‘আমি খুব খুশি, স্কুলে যেতে পারব। বাসায় থাকতে আর ভাললাগে না।’ তবে এই উচ্ছ্বাস কমে আসে যখন সে জানতে পারে প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন সশরীরে ক্লাস হবে। বাকি দিন তাদের অনলাইন ক্লাস নেয়া হবে। স্কুল-কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে কি না অভিভাবকদের ভেতরে সেই উদ্বেগ থেকেই গেছে। আমার প্রতিবেশী তার সন্তানকে শ্রেণীকক্ষে পাঠাতে রাজি নন। আরও এক-দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করার পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত বছরের এপ্রিল থেকেই টেলিভিশনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস প্রচার শুরু হয়। এরপর বড় স্কুল-কলেজগুলো এবং পরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও অনলাইনে ক্লাস শুরু করে। কিন্তু মফস্বল এবং দরিদ্র পরিবারের ডিভাইস ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় সব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারেনি। ফলে বড় ধরনের শিখন ঘাটতি তৈরি হয়। এ অবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি ওঠে। যে কারণে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকলেও স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি এলেও খোলা হয়নি। যা হোক, এখন খুলেছে। এখন আবার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় মন দেবে। উত্তরা, ঢাকা থেকে
×