ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রনি রংদী

স্বাস্থ্যবিধির বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্বাস্থ্যবিধির বিকল্প নেই

দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর স্কুল-কলেজ খুলেছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের আপন জগতে প্রবেশ করেছে আর বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ তাদের আপন করে বরণ করে নেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে যেভাবে অপেক্ষমাণ ছিল তার অবসান ঘটেছে। এই দীর্ঘ সময়ে পড়াশোনার ঘাটতি কিভাবে পূরণ হবে সেই চিন্তা যেন নতুনভাবে নতুন পরিবেশে বিদ্যালয়ে যোগদান করার আনন্দে তা চাপা পড়ে গেছে। সত্যিই বাংলাদেশের ইতিহাসে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সাল এখন বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই, এমনকি পরবর্তী সময়েও এটি একটি ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকবে। এতদিন পর রাস্তায় আবার সেই চিরচেনা রঙিন পোশাকে শিক্ষার্থীদের পথচলা অন্য পথচারীদেরও এক গভীর আনন্দের স্বাদ দিয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম, স্কুল ব্যাগের সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে মাস্ক। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। করোনা এই ভবিষ্যতকে অনেক দিন যাবত থামিয়ে রেখেছিল। পড়াশোনা ও শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি বড় বাধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সেই বাধা পেরিয়ে শিক্ষার্থীরা আবার তাদের যাত্রা শুরু করেছে ভবিষ্যতের দিকে। কিন্তু এই প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। একটি বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে পড়াশোনা করে, একজন কোনক্রমে আক্রান্ত হলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। সেই বিপদ এড়াতেই পরতে হবে মাস্ক ও মানতে হবে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমরা যেন অবশ্যই মাস্ক পরিধান করি এবং অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া আমরা যেন মাস্ক না খুলি। প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে যেন আমরা একটি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিজের কাছে রাখি। স্কুলে বা কলেজে যাওয়ার পথে জন সমাগম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। যেখানে বেশি ভিড় সেখানে না যাওয়াই উত্তম। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই যেন আমরা আমাদের হাত স্যানিটাইজ করে পরিষ্কার করে নিই। যত পারি ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধুই বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখি। এক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত পরিমাণ সাবান ও পানির ব্যবস্থা যেন থাকে সেই নজর রাখলে ভাল। ক্লাসরুমেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরিধান করা। অনেক দিন পর বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা তাই ইচ্ছা হবে কোলাকুলি করতে বা হাত মিলিয়ে সৌজন্যতা করতে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তা হতে বিরত থাকাই প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষা হবে। এতে আমরা প্রত্যেকেই নিরাপদে থাকব। স্কুল-কলেজ থেকে ফিরার পর নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম, জুতা বাইরে রোদে দিলে তা জীবাণুমুক্ত হবে আর যদি কারও দুই জোড়া ইউনিফর্ম থাকে তাহলে ইউনিফর্মটি ধুয়ে দিলে ভাল হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিজেও স্নান করে নেয়া উচিত। এতে শিক্ষার্থী ও তার পরিবার সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। এভাবে প্রতিদিনকার জীবনে আমরা যদি আমাদের নিজেদের সুরক্ষার্থে এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে দীর্ঘস্থায়ী হবে শিক্ষার্থী জীবনের এই নতুন যাত্রা। কলমাকান্দা, নেত্রকোনা থেকে
×