ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মমতাজ লতিফ

ডিজিটাল আইনের ভুল প্রয়োগ

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডিজিটাল আইনের ভুল প্রয়োগ

আমাদের প্রিয় স্বদেশ, মাতৃভূমি বাংলাদেশ কি কোন কারণে কোন দেশের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে? কেনইবা হবে, যেখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবিক ও আধুনিক একজন নারী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান। প্রকৃত অর্থেই আমি মনোকষ্ট বোধ করেছি এবং করে থাকি যখন দেখি তাঁর দলের কোন কোন ব্যক্তি ভুল করছেন। অনেক সময় ধর্মাশ্রয়ী, রক্ষণশীল মোল্লা-মৌলবীদের অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অনাধুনিক কুপরামর্শ সরকার গ্রহণ করেন! এসব ক্ষেত্রে আমি সরকারের ভুল পদক্ষেপটি ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। সংশোধনের পরামর্শ দেই। এর প্রথম কারণ- আমরা মনে করি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রকে সঠিক পথে, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতে আমাদের ভূমিকা রাখা কর্তব্য। রাষ্ট্র তো প্রধানত নাগরিকের। তারাই রাষ্ট্র ও দেশ গঠন করে। তাদের প্রতিনিধি সরকার যদি কোন ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবে যে কোন নাগরিক সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহযোগিতা ও প্রয়োজনে বাধ্য করতে পারে। এতে কোন সম্মানহানির প্রশ্ন ওঠে না। সরকার তো মানুষই পরিচালনা করে এবং মানুষ মাত্রই ভুলভ্রান্তি করে যা যে কোন সময় সংশোধন করে নেয়া ব্যক্তি ও সরকারের পক্ষে শোভনীয় ও মঙ্গলজনক এবং আধুনিক মননের পরিচায়ক। সম্প্রতি আমরা ডিবি, সিআইডি ইত্যাদি পুলিশের নানা শাখার সদস্যদের হত্যা, অর্থলুট, অর্থ পাচার, ব্যক্তি অপহরণ প্রভৃতি অপরাধের বিস্ময়কর সব ঘটনা সংবাদপত্র সূত্রে জানতে পারছি। তাদের দুঃসাহসের অবিশ্বাস্য কর্মকা- জাতিকে বিমূঢ় করেছে, সন্দেহ নেই। এই ক’দিন আগেও একটি সভায় একজন বিচারপতি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সাহস করে।’ ঠান্ডা মাথায় পুলিশ হেফাজতে হত্যার কয়টির বিচার হয়েছে? অথচ এদের টার্গেট তো রকি, জনির মতো ক্ষমতাহীন, রিফিউজি ক্যাম্পের তরুণ অথবা প্রবাসী শ্রমজীবী, বস্তিবাসী, শ্রমিক, নিরপরাধ তরুণ। প্রধানমন্ত্রীকে বলব- এসব ঘটনা রাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে সরকারকেও মানবাধিকার রক্ষায় ব্যর্থতার গ্লানি বহন করতে হয়। মানবাধিকার ইস্যুতে দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে। আপনি অতি অবশ্যই পুলিশ হেফাজতে রকি হত্যার রায় অনাবশ্যকভাবে আপীল বিভাগে আটকে থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন এবং এই জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা বা অন্যত্র বাস করা নতুন প্রজন্মের রিফিউজি সন্তানদের প্রাপ্য নাগরিক অধিকার, ক্ষেত্রবিশেষে বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করি। জনগণ সিনহা হত্যাসহ সব অপরাধে জড়িত কক্সবাজার অঞ্চলের মূর্তিমান আতঙ্ক ওসি প্রদীপের দ্রুত বিচার আশা করে। এবার আসা যাক রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ-ধর্মনিরপেক্ষতার শত্রুপক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ওপর আঘাতকারী ধর্মান্ধ, রক্ষণশীল, মোল্লাদের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আদর্শের পক্ষে মন্তব্যকারী ঝুমন দাসের প্রসঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই উপলব্ধি করেন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে একটি বড় অংশ আছে যারা সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিদ্বেষী। এরাই আবার ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী, গায়ক, সংস্কৃতিকর্মী, বাদক প্রমুখকে শত্রু বলে গণ্য করে! এদের আদর্শ জঙ্গী জেএমবি, আনসার আল ইসলাম বা হেফাজত, জামায়াত ও তালেবান, আইএস গোষ্ঠীর মতোই। আসলে সত্য হচ্ছে এই যে- এসব ধর্মান্ধ, প্রাচীন, হত্যা ও অনাধুনিক, অমানবিক সভ্যতার শত্রুদের কঠোর হস্তে দমন করে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার মোয়াম্মার গাদ্দাফী, সিরিয়ার আসাদ এবং আফগানিস্তানের জহির শাহ, ইরানের মোসাদ্দেক সরকার। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ইতিহাস আমাদের জানায়, উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও আফগানিস্তানের বর্ডার এলাকায় ইসলামী ধর্মান্ধ মোল্লা-মৌলবী-পীরের উত্থান ঘটানো হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতন্ত্র রুখবার লক্ষ্যে ধনতন্ত্র রক্ষার প্রহরী হিসেবে ব্রিটিশ সরকার ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরাই ভারতে জিন্নাহকে সামনে রেখে মুসলিম লীগের জন্ম দিয়েছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় রাজনীতিকে দ্বিধাবিভক্ত করতে এবং গুন্ডা-ঘুষ-হত্যার অপরাজনীতির জন্ম দিয়ে। এই তালেবানদের দল আল কায়েদার জন্ম দিয়েছিল ওসামা বিন লাদেনের সাহায্যে; যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ বুশের বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার। তালেবান-আল কায়েদাকে দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সে সময়ের সমাজতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করে সোভিয়েতের সৈন্যদের বিরুদ্ধে ধর্মকে ব্যবহার করে ওই ধর্মান্ধ মূর্খদের দিয়ে যুদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের তৈরি দৈত্যকে আবার তাদেরই হত্যা করতে হলো ১১ সেপ্টেম্বরের টুইন টাওয়ার হামলার কারণে। বলা হয়ে থাকে, টুইন টাওয়ার হামলাও ছিল পরিকল্পিত। এটি ঘটার ফলে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের একচেটিয়া ‘জঙ্গী জিহাদী সন্ত্রাসী’ নামাঙ্কিত করার প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ে। এটাও সত্য- এরপর এক দশকেরও বেশি মুসলিম ও জঙ্গী-সন্ত্রাসী এক ব্র্যাকেটে বন্দী হয়। বাংলাদেশেও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে জেএমবি শতাধিক জঙ্গী-জিহাদী দলের জন্ম হয়। এদের বোমা ও গ্রেনেড হামলায় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতিক, আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, ধর্মনিরপেক্ষ কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ তাদের ভিটা, বসত, জমি, জীবিকা এদের হামলা-অত্যাচারের শিকার হয়। এমনকি, বৌদ্ধ পুরোহিত, খ্রীস্টান যাজক, শিয়া ধর্মাবলম্বী ও তাদের মসজিদ পর্যন্ত এদের টার্গেট হয়। এরপর জনগণকে আশ্চর্য করে উচ্চ শিক্ষিত ধনীর সন্তানদের ‘বিদেশী হত্যা করে বেহেশতে যাবার’ কুযুক্তিতে আচ্ছন্ন করে তাদের দিয়ে গুলশানের হলি আর্টিজানে দেশের গার্মেন্ট বাণিজ্য সহায়ক বহু বিদেশীকে হত্যা করা হয় যা পুরো দেশ এবং বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দেয়। অবশ্যই, এরপর সরকার জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে প্রচার চালায়। পাশাপাশি চলে পুলিশের জঙ্গী বিরোধী অপারেশন যাতে অনেক জঙ্গী নিহত হয়, অনেকে গ্রেফতার হয়। জঙ্গী দলগুলো কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। আমাদের শঙ্কিত করেছে সরকারের কোন কোন সদস্যের হেফাজতের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি এবং সমর্থন দেখে। এদের কারও কারও সম্বন্ধে এমন অগ্রহণযোগ্য ঘটনার কথা শোনা যায় যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী। শোনা যায়, ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের বাড়িতে জানালা লক্ষ্য করে বোমা হামলা করে। অধ্যক্ষের এক কন্যা সঙ্গে সঙ্গে নিহত হয়, অপর আহত কন্যাও হাসপাতালে মারা যায়। এই নিরাপরাধ মানুষ হত্যায় যুক্তদের কর্তৃপক্ষ কলেজ থেকে বহিষ্কার করে। এই নির্মম হত্যার ঘটনা আবুল ফজলসহ চট্টগ্রামের সকল প্রগতিশীল লেখক, কবি- সাহিত্যিক, শিল্পী-পেশাজীবীরা নিন্দা জানান, উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। কেননা, বঙ্গবন্ধু সবসময় সুস্থ রাজনীতির চর্চা করে গেছেন, হত্যার রাজনীতিকে তিনি সব সময় ঘৃণা করেছেন। শোনা যায়, ওই বোমা হামলাকারীদের ক্ষোভ এখনও সাহিত্যিক আবুল ফজলকে সহ্য করতে হচ্ছে যদিও উনি ’৮৩ সালে মৃত্যুবরণ করে দীর্ঘকাল আগেই পৃথিবী ছেড়ে গেছেন। আমাদের দেশে মানবাধিকার প্রশ্নে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট। এটি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী এটিকে অযৌক্তিকভাবে ব্যবহার করছে প্রধানত সংখ্যালঘু এবং প্রগতিশীল ও মুক্তমত প্রকাশ করা ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। চরিত্রহীন মামুনুল হকের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে মন্তব্যকারী ঝুমন দাস বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে। অথচ, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করল কেন- এটি একটি বড় প্রশ্ন। এর আগেও হেফাজতের ধর্মান্ধ বক্তব্যের বিরোধিতাকারী হিন্দু তরুণ গ্রেফতার হয়েছে। দ্বিতীয়ত সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রদানকারী এ রাষ্ট্রে অপরাধী বলে গণ্য হবে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পক্ষের বক্তব্যদানকারী নয়- এটি যদি ডিজিটাল এ্যাক্ট বিবেচনা করতে না পারে অথবা পুলিশ যদি সংখ্যাললঘুবিদ্বেষী হয়ে ডিজিটাল এ্যাক্টকে দোষী মোল্লাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করে হিন্দু-আদিবাসীদের বিরুদ্ধে, সরকারের সমালোচক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে, তাহলে বলতেই হয়- অতি অবশ্যই বর্তমান ডিজিটাল অপরাধ দমন আইনটির ভুল-ব্যবহারের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করে এটিকে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে’র যোগ্য করে তুলতে হবে, যার কোন আপাত বিকল্প নেই। আবারও বলছি- পুলিশ হেফাজতে নিহত রকি হত্যার আপীল দ্রুত শেষ করে এর রায় কার্যকর করুন। ওর ভাই-পুত্রদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করুন এবং এই রিফিউজি সন্তান যারা ’৭১-এর পর বেড়ে উঠেছে, তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রয় দিন, জীবন যাপনের কাজে সহযোগিতা করুন- তারা তো বাংলাদেশী এবং বাঙালীই হয়ে গেছে। এটি মানবাধিকার সমুন্নত করতে সরকারকে সহায়তা করবে। পরিশেষে বলব- ঝুমন দাসকে দ্রুত জামিন দিন এবং কাজলকে, অন্যদের মামলা থেকে মুক্ত করুন। আমাদের গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই একটি মানবিক ডিজিটাল আইন তৈরি করতে হবে। আমরা কেন মানবাধিকার প্রশ্নে লাল তালিকাভুক্ত হবো। আমরা মুক্ত মনের অবাধ প্রকাশ অবশ্যই মনে নেবো। পরীমনি যদি এত বিরুদ্ধতা সহ্য করতে পারে, তাহলে রাষ্ট্র-সরকার তো আরও বেশি মুক্ত মতে, সমালোচনা সহ্য করতে পারবে। ক্ষমতায় থাকলে সমাজে নানা রকম ভিন্ন মত তো প্রকাশ হতেই পারে- এর মধ্যে অনেকগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগও সৃষ্টি হয়- এটিও মাথায় রাখতে হবে। ভিন্নমত গ্রহণে রাষ্ট্রযন্ত্র এখনও যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেনি যা রাষ্ট্রের অন্য ক্ষেত্রের উন্নয়নের সমতুল্য গণ্য হতে পারে। এটি সরকারে থাকা কিছু ব্যক্তির ভিন্ন মতকে ‘শত্রু-মত’ গণ্য করার কারণে হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া বার বার মোল্লাদের কুযুক্তির প্রতিবাদকারী হিন্দু-আদিবাসী-সংখ্যালঘুকে গ্রেফতার করা, জেলে দেয়া পুলিশকে বন্ধ করতে হবে । পুলিশকে নির্দেশদাতারা তাঁদের ভুল পদক্ষেপ সংশোধন করবেন, আশা করি। গাইবান্ধার সাঁওতালদের বাগদাফার্ম নাকি ইপিজেড করার জন্য সরকার নিতে যাচ্ছে। কেন, গায়ে পড়ে সংখ্যালঘুদের ভূমি সরকারকে নিতে হবে এবং পায়ে পা দিয়ে সাঁওতাল-সরকার অযথা দ্বন্দ্ব লাগাচ্ছে কারা? এরাই সরকার ও দেশের শান্তির শত্রু। এদের প্রশ্রয় না দিয়ে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নিশ্চিত করুন, অশান্তি এড়িয়ে চলুন। লেখক : শিক্ষাবিদ
×