স্টাফ রিপোর্টার.বগুড়া অফিস ॥ মটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্যই শেরপুর থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বগুড়ার গাবতলিতে নির্জন স্থানে গলা কেটে খুন করা হয় যুবক ইব্রাহিম হোসেনকে(২১)। মঙ্গলবার ভোরে মারা যাওয়ার পর পুলিশ এঘটনায় জাহিদ হাসান মামুন(২০) নামে এক জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো ৬ জন পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত জাহিদ হাসান স্বীকারেক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বুধবার এই হত্যা রহস্য উন্মোচন ও ছিনাতাইকৃত মটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।
পুলিশ জানায়,ইব্রাহিম বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মীর্জাপুরে মামা ছামসুল বারীর সঙ্গে চাতাল ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। মামার মটরসাইকেল নিয়ে ইব্রাহিম প্রায় বের হতেন। মটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘোরাফেরার কারনে একই উপজেলার খন্দকারটোলার জাহিদ হাসান মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। মামুন বখাটে ও পরিবহন শ্রমিক। মটরসাইকেল ছিনতায়ের উদ্দেশ্যে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি জাহিদ সোমবার নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ইব্রাহিমকে গাবতলির এক পরিত্যক্ত ইটভাঁটিতে নিয়ে যায়। সেখানে আরো ৬ জন মাদক সেবন করার পর ইব্রাহিমের গলায় ব্লেড চালিয়ে গলা কাটা হয়। মৃত ভেবে জাহিদ হাসানসহ তার সহযোগিরা ইব্রাহিমের মটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। পরে ইব্রাহিম বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে রাস্তার ওপর এক মুদি দোকানের সামনে এসে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে মঙ্গলবার ভোরে সে মারা যায়। পুলিশ জাহিদ হাসান মামুনকে শহরের নাটাইপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার এবং তার দেখানো স্থান থেকে মটরসাইকেল উদ্ধার করে। বগুড়ার গাবতলি থানার ওসি জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় আরো ৬ জন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত জাহিদ হাসান মামুন বুধবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বকীরোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে তিনি জানান।