ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই

প্রকাশিত: ২১:০২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সঙ্কট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’ বা ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফান্ডটি ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্বতন্ত্র পরিচালনা পর্ষদ কাজ করছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের কোম্পানিসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানও তাদের অদাবিকৃত বা অবন্টিত লভ্যাংশ বা অর্থ ওই ফান্ডে জমা দিচ্ছে। ফলে এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের ব্যবহার নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। জানা গেছে, গত সোমবার দেশের আর্থিক খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভার উদ্ধৃতি দিয়ে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অদাবিকৃত লভ্যাংশ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রাজি নয় মন্তব্য প্রকাশ পায়। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, প্রতিষ্ঠান লোকসানে রেখে লভ্যাংশ প্রদানের সুযোগ নেই। এই বিতর্কের সুযোগ নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যা বলেছে, সেটা তাদের আরও ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হয়েছে। এখানে মূল বিষয় দুটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী অদাবিকৃত টাকা ১০ বছর পর বাজেয়াফত করা হয়ে থাকে। এতে পরে ওই টাকার মালিকানা দাবি করার যুযোগ থাকে না। সেই হিসেবে আমাদের পরিকল্পনা পুরোপুরি ভিন্ন। স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অদাবিকৃত বা অবন্টিত বা এ সম্পর্কিত যত ধরনের জিনিস নিয়ে আমরা কাজ করছি, তা অনন্তকাল ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমনকি মালিকের মৃত্যুর পরও তার ওয়ারিশ ওই টাকা যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে বুঝে নিতে পারবেন। আর ওই ফান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে যদি মুনাফা আসে, সেটিও পাবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো আমরা ফান্ডটি বাজেয়াফত করছি না। যদি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো অদাবিকৃত শেয়ার বা অর্থ বাজেয়াফত করতাম তাহলে সাংঘর্ষিক বলার সুযোগ থাকত। তিনি আরও বলেন, আমরা অদাবিকৃত শেয়ার বা অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে ভিন্নভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। এতে ওই অর্থের ঝুঁকি কমিয়ে নিরাপদ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
×