ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাবি শিক্ষার্থী মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ॥ চার আনসার সদস্য বহিষ্কার

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাবি শিক্ষার্থী মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ॥ চার আনসার সদস্য বহিষ্কার

জাবি সংবাদদাতা ॥ সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের হাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থী ‘গুরুতর আহত’ হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আহত শিক্ষার্থী নাম নুর হোসাইন, তিনি বিশ্বদ্যিালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষে (৪৬ ব্যাচ) অধ্যয়নরত। মারধরের ঘটনার বিচার দাবিতে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে বহিস্কার, নুর হোসাইনের চিকিৎসার সকল ব্যয়সহ ক্ষতিপূরন দিতে হবে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও এমন ঘটনার পুরনাবৃত্তি ঘটলে তা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়বার বহন করতে হবে। পরে জাবি প্রক্টর ও আশুলিয়া পুলিশ দাবি মানার আশ^াস দিলে সোয়া ১২ টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে, জাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ৪ আনসার সদস্যকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, ওমর ফারুক, সারোয়ার, রমজান ও নজরুল। ঢাকা জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডেন্ট আফজাল হোসেন বলেন, আমি আহত শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করেছি। যেসব আনসার সদস্যরা হামলা করছে তাদের স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে। তারা যাতে কোথাও কাজ না করতে পারে, সেজন্য তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আমরা আহত শিক্ষার্থীর সকল চিকিৎসা ব্যয়সহ ক্ষতিপূরণ দিবো।” আহত নূর হোসেন বলেন, “সোমবার বিকালে গ্রাম থেকে ঘুরতে আসা আমার দুইজন ভাগিনাকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যাই। স্মৃতিসৌধ বন্ধ জানিয়ে দায়িত্বরত গার্ডরা আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে অন্যদের প্রবেশ করতে দেয়ার প্রতিবাদ করি আমি। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাত থেকে আটজন গার্ড আমাকে ভিতরের একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করে। পরে আমার বড় ভাগিনা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে।” বর্তমানে তিনি সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
×