ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেক্সিমকো ও সামিট সাড়ে ৪ কোটি টাকার অনুদান দিলো জাগো ফাউন্ডেশনকে

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১০ আগস্ট ২০২১

বেক্সিমকো ও সামিট সাড়ে ৪ কোটি টাকার অনুদান দিলো জাগো ফাউন্ডেশনকে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সামিট করপোরেশন এবং বেক্সিমকো হোল্ডিংস, দেশের দুটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জাগো ফাউন্ডেশনকে ৪৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৪ কোটি টাকার বার্ষিক মিলিত-অনুদান প্রদান করেছে। এর ফলে জাগো সারা দেশে ৪,০০০ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নেবে। জাগো, তাদের ইউনেস্কোর পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার মডেল ব্যবহার করে মহামারিকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় টেলিফোন, শর্ট মেসেজিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করবে। আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে গেলে, অনুদানটি ডিজিটাল স্কুল পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের দুটি কর্পোরেট মিলিত হয়ে এত বিশাল অঙ্কের অনুদান কোনো দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করলো। সামিট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, সারা বাংলাদেশে জাগো-এর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওয়েবভিত্তিক শিক্ষার মডেল হয়তো ভবিষ্যতের পড়াশোনারই মডেল। করভি যা ভেবেছে তা আমাদের আগামীতে অনুসরণ আর অনুকরণ করা উচিত। সামিট দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাগো-এর এই ইন্টারনেটভিত্তিক স্কুলগুলোকে সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জাগো শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা পুরস্কার পেয়েছে, তেমনি তারা নোবেল পুরস্কারের দাবিদার। প্রতিটি শিশুর আছে শিক্ষার অধিকার- আছে অধিকার স্কুলে যাওয়ার এবং শেখার। তবে অনেকের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারিতে সেই অধিকারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মনে করেন বেক্সিমকো গ্রুপের বোর্ডের উপদেষ্টা শায়ান এফ রহমান। সৌভাগ্যবশত, দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে অনেকের জন্য দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি। বেক্সিমকো এবং সামিটকে সঙ্গে নিয়ে, জাগোর মাধ্যমে চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে গর্বিত। জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ বলেন, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষা খাত। এই বৈশ্বিক মহামারিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমন একটি মুহূর্তে, সামিট এবং বেক্সিমকো, শিক্ষা খাতকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টর দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে আসার এটি একটি উদাহরণ। আমি আশা করি যে, এই উদ্যোগ অন্যান্য কর্পোরেটদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জাগাবে এবং সমাজে একটি পরিবর্তন আনবে। এই ঘোষণা উপলক্ষে, জাগো ফাউন্ডেশন একটি ভার্চ্যুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে সামিট গ্রুপ অফ কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ ফাদিয়া খান, আজিজা আজিজ খান ও সালমান খান উপস্থিত ছিলেন। বেক্সিমকো থেকে ছিলেন গ্রুপ ডিরেক্টর আজমল কবির ও নির্বাহী পরিচালক, বেক্সিমকো গ্রুপ, সামিরা জুবেরী হিমিকা। এ ছাড়া ছিলেন জাগোর প্রথম ব্যাচের দুই ছাত্র ফাতেমা ও লেনিন। ভার্চ্যুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি নবনিতা চৌধুরী সঞ্চালনা করেন। এই ৩ বছর মেয়াদি মিলিত-অনুদান ব্যবহার করে জাগো আশা করে প্রান্তিক শিশুদের জীবনে একটি টেকসই পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং এটি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
×