নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ টঙ্গীর ভাদাম ক্রসলাইন নীট গার্মেন্টসে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকাল পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ পুলিশ ও ৩ আনসার সদস্যসহ ২৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনায় টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ছোড়াসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আরো অঘটন ঘটার আশংকায় কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। টঙ্গী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জনকণ্ঠকে জানান, আলোচিত কারখানাটির সামনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকাল থেকে কারখানার মুলফটকের সামনে বিক্ষোভ করছিল। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যায়। শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ৫৮ রাউন্ড শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, এএসআই এমদাদুল হক, মেহেদী, সাব্বির, আশরাফুল, মারুফ তমাল ও আনসার সদস্যরা হচ্ছে, মোয়াজ্জেম হোসেন, রেজাউল করিম ও মোহাম্মদ আলী মোল্লা। আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি হাসপাতালসহ স্হানীয় নানা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে আরো জানা যায়, কারখানায় শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনায় গত ক'দিন ধরে কারখানার কয়েকশ' শ্রমিক কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে আসছিল। কারখানা কতৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের জন্য বুধবার সময় নির্ধারন করে দেয়। এর মধ্যে আরো শ্রমিকের ছাটাইয়ের নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের কাজে যোগ দেবার সুযোগ না দেয়ায় বুধবার শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ অবস্হায় কারখানা কতৃপক্ষ ছাটাই করা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের সিন্ধান্ত নেয়। পর দিন বৃহষ্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার কাজে যোগ দিতে এসে দেখতে পায় কারখানার দুইটি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে তারা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। শ্রমিক আন্দোলনের খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে শ্রমিকরা আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের বোঝাতে চেষ্টা করলেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। টঙ্গী জোনের শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল জলিল জনকণ্ঠকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও গুলি ছুঁড়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: