ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেললিঙ্ক দিয়ে আরও ১৯ ওয়াগন পাথর এলো

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ৫ আগস্ট ২০২১

চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেললিঙ্ক দিয়ে আরও ১৯ ওয়াগন পাথর এলো

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ব্রডগেজ রেলপথে ভারত থেকে আরও ১৯ ওয়াগন পাথর এলো নীলফামারীর চিলাহাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পনে ১টায় ভারতের হলদিবাড়ি রেলষ্টেশন থেকে চিলাহাটি স্টেশনে এসে পৌঁছায় এই পাথরের ওয়াগন গুলো। এরপর ওয়াগন রেখে ভারতীয় ইঞ্জিনটি লোকমোটিভ ভারদে ফিরে যায়। সুত্র মতে প্রতি ওয়াগনে গড়ে ৫৯ মেট্রিকটন করে পাথর রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চিলাহাটি রেলস্টেশন মাস্টার আশরাফুল হক বলেন, এর আগে সর্বপ্রথম পহেলা আগষ্ট বিকালে ভারত থেকে ৪০টি ওয়াগনে ২ হাজার ২৮৫ দশমিক ২০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চিলাহাটি আসে। যা যশোহরের নওয়াপাড়া প্রেরণ করা হয়। আজ যে ১৯টি ওয়াগনে ভারত থেকে পাথর এলো তা বাংলাদেশের ইঞ্জিন নিয়ে যাবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। সেখানে পাথর খালাশ করা হবে। সুত্র মতে আগামী ৭ আগষ্ট আরও ৪০ ওয়াগন ভারত থেকে পাথর আসবে। এরপর চাল,গম ও ভুট্টাও আমদানী করবে আমদানীকারকগন। উল্লেখ যে, দীর্ঘ প্রায় ৫৬ বছর পর ভারতীয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের হলদিবাড়ি, নিউজলপাইগুড়ি (শিলিগুড়ি) সঙ্গে বাংলাদেশের চিলাহাটির রেললাইন সংযোগ স্থাপিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো হলো- বেনাপোল (বাংলাদেশ) - পেট্রাপোল (ভারত), দর্শনা (বাংলাদেশ)-গেদে (ভারত), রহনপুর (বাংলাদেশ)-সিংহাবাদ (ভারত), বিরল (বাংলাদেশ)-রাধিকাপুর (ভারত)। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই উভয় দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পূর্ববর্তী সব রেল সংযোগ পুনরায় কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। এরই অংশ হিসেবে রেল সংযোগটিকে পুনঃস্থাপিত করার কাজ হাতে নেয় দুই দেশের সরকার। পুনঃস্থাপনের পর, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে চিলাহাটি (বাংলাদেশ) এবং হলদিবাড়ি (ভারত) রেল সংযোগটি উদ্বোধন করেন। এই রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার পঞ্চম রেল সংযোগ হিসেবে পুনরায় চালু হলো। ব্রডগেজ লাইনের এই রুটটি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক স¤পর্কের আরও একটি নতুন দিগন্ত উম্মোচিত করেছে। এই রুটটি অন্যান্য রুটের চেয়ে দুরত্ব ও সময় কম লাগার কারনে আমদানী ও রপ্তানীকারনগন এই রুটটি এখন বেছে নিচ্ছেন বেশী। এখন থেকে এই পথে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পন্য আমদানী ও রপ্তানী করা সম্ভব হবে।
×