ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৫ আগস্ট ২০২১

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডে যুক্ত ছিল এবং তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের (ডিএফপি) নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকা দুটির মুজিববর্ষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। সচিব মোঃ মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথির এবং ডিএফপির মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘জিয়া নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে আওয়ামী লীগ জড়িত’। এর জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফখরুল সাহেবরা প্রতিবছর আগস্ট মাস এলেই এ কথাগুলো বলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারের সময় সাক্ষী ও আসামিরা যে জবানবন্দী দিয়েছে সেগুলো রেকর্ডেড। তারা জবানবন্দীতে স্পষ্টভাবে বলেছেন কখন, কোথায় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, জিয়াউর রহমান কি বলেছে, কিভাবে সম্মতি দিয়েছে, তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ ধরনের জঘন্য মিথ্যাচার পরিহার করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের ‘প্রসিডিং’টা পড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে বিচারের বৃত্তান্ত জনসম্মুুখে নিয়ে আসব। তাহলে মানুষ জানতে পারবে আসামিরা তাদের জবাবন্দীতে কী স্বীকার করেছে। জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল এটা খুনী কর্নেল ফারুক এবং রশীদ দুজনই ১৯৭৬ সালে আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাতকার দিয়ে স্বীকার করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জিয়া যদি মোশতাকের আস্থাভাজনই না হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর জিয়াউর রহমানকে কেন সেনাপ্রধান করা হলো? বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সবচাইতে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিথ্যার ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি। মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এখন তাদের দলও ছোট হয়ে আসছে। মন্ত্রী এ সময় নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকার মুজিববর্ষ সংখ্যা প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার জন্য এ প্রকাশনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ববহ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান, গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×