স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হাড়িদিয়া গ্রামের একটি বস্তি পুড়েগেছে। এতে ৪৬টি ঘর গৃহহারা এখন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতের এই আগুনে দরিদ্র পরিবারগুলো একরকম নিঃস্ব। শ্রীনগরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই গ্রামবাসীর আধাঘণ্টা চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে পরে ফায়ার সার্ভিস আরও আড়াই ঘন্টা চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন করির জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারী সাহায্যের আওতায় আনা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, পরিবারগুলোকে খাদ্য সাহায়তা ছাড়াও টিন দেয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
বন্তিঘরের মালিক জহির দেওয়ান দাবি করেন- পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ মনির দেওয়ান, খোকন মুন্সী, লিটন ঢালী, শরীফ আমার বস্তিতে আগুন দিয়েছে। এর আগেও দুইবার আগুন দিয়েছিল। আশেপাশের লোকজন থাকাতে আগুন নিভাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এইবার আগুনে সব শেষ হয়েগেল। তিনি আরও জানান, এর আগে আগুন লাগানোর ঘটনায় তাদের নামে আমি লৌহজং থানায় জিডি করেছিলাম।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন ঘটনাস্থল ঘুরে এসে জানান, ঘরের ভিতর থেকে আগুন লাগার সূত্রপাত হয়েছে। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এখানে বহিরাগত দিনমজুর-শ্রমিকেরা পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে, আগুনে তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা, আসবাবসহ মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে গেছে। কাঠ ও টিনশেডের তৈরি হাড়িদিয়া গ্রামের এই বস্তিতে ৫০টি পরিবারের থাকার জায়গার মধ্য থেকে ৪৬টি থাকার জায়গাই পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। শ্রীনগর ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, ১০টি ঘর পুড়েছে। তবে এই ঘরগুলোতেই প্রায় ৪৬ পরিবার বসবাস করতো। ক্ষতির পরিমান ১২ লাখ টাকা হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি ৫০ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: