ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে নবজাতক সন্তান বিক্রি, পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৯:১০, ৩ আগস্ট ২০২১

সৈয়দপুরে নবজাতক সন্তান বিক্রি, পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ মাত্র কুড়ি হাজার টাকায় সদ্য প্রসবকৃত নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিচুকলোনী মহল্লার এক দম্পতির বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি হলে পুলিশ দুই ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরে দিয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলার সৈয়দপুর শহরের নিচু কলোনি এলাকার মো. নাদিমের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩২) প্রসব বেদনা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে স্বাভাবিক অবস্থায় পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর ওই নবজাতককে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন একই মহল্লার জনৈক জামিলা খাতুনের কাছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শহরের কুন্দল এলাকার রফিক মিয়া বলেন, হাসপাতালে মূল গেটে নবজাতকের বাবার সঙ্গে এক মহিলার ক্রেতার চুক্তিপত্র সম্পাদন হতে দেখতে পাই। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর শেষে মহিলাটি নবজাতকের বাবার হাতে এক বান্ডিল টাকা তুলে দেন। সৈয়দপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নবিউর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি জানতে পেরে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওমেদুল হাসান সম্রাট ও গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাসুদা আফরোজসহ ওই ওয়ার্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে নবজাতকের মা জোসনা বেগমকে দেখতে পাই, কিন্তু ওই সময় নবজাতককে দেখতে না পেয়ে জানতে পারি ঘটনাটি। সৈয়দপুর শহরের পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান টাকার বিনিময়ে নবজাতক বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রেতা লিমা আকতারের কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করি। লিমা আকতার সৈয়দপুর শহরের নিচু কলোনি মহল্লার খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। নবজাতকের মা জোসনা বেগম জানান, জামিলা খাতুন আমার দূর সম্পর্কীয় ফুপাতো বোন। তার কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় তাকে স্বেচ্ছায় দিয়েছি। তবে আমার চিকিৎসার খরচ বাবদ তিনি আমাদের ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ নবজাতককে উদ্ধার করে প্রসুতির কোলে ফিরে দেয়া হয়েছে।
×