অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরান তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে কোনো হুমকির তড়িৎ প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে হুঁশিয়ার করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওমান উপকূলে একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্য তেহরানকে দায়ী করার পর সোমবার তারা এ হুঁশিয়ারি দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরান বলছে, বৃহস্পতিবার এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ওই ট্যাংকারে সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় এক ব্রিটিশ ও এক রোমানিয়ান ক্রু নিহতের ঘটনায় তাদের কোনও ধরনের যোগসাজশ নেই।
অন্যদিকে রবিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ও জাপানি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ট্যাংকারে হামলার প্রতিক্রিয়া দেখাতে তারা তাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে।
ইসরায়েলের এক ধনকুবেরের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জোডিয়াক মেরিটাইম হামলার শিকার হওয়া মার্সার স্ট্রিট ট্যাংকারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ওমান উপকূলের ঘটনাকে ‘বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ওপর ভয়ানক ও স্পষ্টতই অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
“যা করেছে তার প্রতিক্রিয়া দেখা উচিত ইরানের,” সোমবার সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন জনসন।
এদিন যুক্তরাজ্য ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলবও করে। এর পাল্টায় পরে ইরানও ব্রিটিশ শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও তেহরানে রোমানিয়ার শীর্ষ দূতকে তাদের নিজ নিজ দেশের ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের’ প্রতিক্রিয়ায় ডেকে পাঠায় বলে জানায় আধাস্বায়ত্তশাসিত ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স।
“নিজেদের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দ্বিধা নেই ইরানের। যে কোনো সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান তড়িৎ ও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবে,” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদে এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন।
তেহরান ট্যাংকারে প্রাণঘাতী হামলার ‘দায় এড়ানোর চেষ্টা’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত। হামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ইরান যেভাবে অস্বীকার করছে তাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রবিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ওমান উপকূলের ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানো দরকার।
“নিজেদের নাগরিকদের রক্ষায় নানা ধরনের উপকরণ ও বিকল্প আছে ইসরায়েলের। যারা আমাদের ক্ষতি করতে আসবে, আমরা তাদের সুবিধামতো সময়ে, সুবিধামতো স্থানে, আমাদের এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য ভালো এমন উপায়ে বুঝিয়ে দেব,” পার্লামেন্টে এমনটাই বলেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ওমান উপকূলের ঘটনায় ‘সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া’ দেখা যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন। তবে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে ট্যাংকারে হামলার ঘটনার কোনো যোগ আছে বলে তিনি মনে করছেন না।
রাইসি বৃহস্পতিবার ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: