ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হবার আগেই ‘শেষ’ কঠোর বিধিনিষেধ

প্রকাশিত: ১২:৩১, ৩ আগস্ট ২০২১

শেষ হবার আগেই ‘শেষ’ কঠোর বিধিনিষেধ

অনলাইন ডেস্ক ॥ দুদিন পরেই শেষ হচ্ছে সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লাকডাউন)। শেষদিকে এসে এই লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। জনসাধারণ প্রয়োজনে যেমন ঘর থেকে বের হচ্ছে, তেমনি বিনা কারণেও বের হচ্ছে। প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহন না চললেও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা অবাধে চলাচল করছে। এ ছাড়া পুলিশের চেকপোস্টগুলোতেও লকডাউনের শুরুতে যেমন কড়াকড় ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ চেকপোস্ট অবাধে পার হয়ে যাচ্ছে রিকশার যাত্রীরা। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউনের এমন চিত্র দেখা যায়। তবে গণপরিবহন চলাচল না করায় রাজধানীতে চিরাচরিত যানজট দেখা যাচ্ছে না। চলমান লকডাউনের শুরুর দিকে চেকপোস্টে বেশ কড়াকডড়ি ছিল। এখন আর কোনো কড়াকড় নেই। আজ দেখা যায়, চেকপোস্টের পুলিশ অনেকটাই নীরবে দায়িত্ব পালন করছে। রিকশা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল সবকিছু অবাধে চেকপোস্ট পার হয়ে যাচ্ছে।’ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন রাস্তায় মানুষের চলাচল বেড়েছে, এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখন গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে মানুষের চলাচল বাড়বে। স্বাভাবিক সময়ের মতো যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের হয়তো অত বেগ পেতে হয় না, কিন্তু নিয়মিতই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কারণ এই মোড়ের সব রাস্তাতেই গাড়ি চলাচল করছে।’ প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল যেমন বেড়েছে তেমনি রাজধানীর অলিগলিতে মানুষের চলাচল বেড়েছে। আর কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের ভিড় লেগে থাকা অনেকটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। গলির ভেতরে চলাচল করা মানুষের একটি বড় অংশই অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে। হাতিরপুল কাঁচাবাজারে দেখা যায়, নারী-পুরুষের প্রচণ্ড ভিড়। রাস্তার দুই ধারে বসা বাজারটিতে এতটাই ভিড় যে রাস্তা দিয়ে যেতেও অন্যের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে হচ্ছে। আর দোকানগুলোতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা পণ্য কিনছে।’
×