ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ আসন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকে মাইক্রোবাসের শুল্ক সুবিধা দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: ২১:১৩, ১ আগস্ট ২০২১

১৫ আসন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকে মাইক্রোবাসের শুল্ক সুবিধা দেয়ার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা মোকাবেলার সহায়ক হিসেবে পেট্রোল চালিত ১৫ আসন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকে ডিজেল চালিত মাইক্রোবাসের ন্যায় শুল্কসুবিধা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। রবিবার বাংলাদেশ রি-কন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়-সরকার মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড গাড়ির আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও শুল্ক ছাড় করেছে। কিন্তু শুল্ক আরোপ বিষয়ে জটিলতা দূর না হওয়ায় ১৫ আসন বিশিষ্ট গাড়ি বেচাকেনায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই সঙ্কট দূরীকরণে এইচএসকোড ৮৭.০২.১০.৪৯ এর অধীন ১৫ আসন বিশিষ্ট যানবাহনের ন্যায় একই সুবিধা দেয়ার জন্য বারভিডা জোর দাবি জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে বলেছেন, ‘নসিমন, লেগুনার মতো দূর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি’। ঘোষণা অনুযায়ী হেডিং নং ৮৭.০৩ এর বিভিন্ন এইচএস কোডের আওতাধীন ও সর্বোচ্চ ৯ আসন ও ১৮০০ সিসির ইলেকট্রিক মাইক্রোবাস, পেট্রোল ও ডিজেল চালিত মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করা হয়। কিন্তু নসিমন, লেগুনার প্রকৃত বিকল্প গণপরিবহন হেডিং ৮৭.০২ এর অন্তর্গত এইচএস কোড ৮৭০২.১০.৪৯ ও ৮৭০২.৯০.৪০ এর আওতাধীন ১০ হতে সর্বোচ্চ ১৫ আসন ক্ষমতাসম্পন্ন ও মাইক্রোবাস হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত যানে ভুলবশত কিংবা অজ্ঞাত কারনেএই সুবিধা দেয়া হয় নাই। পরবর্তীতে ৩০ জুন ২০২১ তারিখে প্রস্তাবিত বাজেট চূড়ান্তকালে উক্ত হেডিং ৮৭.০২ এর অন্তর্গত এইচএস কোড ৮৭.০২.১০.৪৯ এর অধীন ডিজেলচালিত ১৫ আসন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকেও মাইক্রোবাস হিসাবে উল্লেখ করে নিম্নরূপ বর্ণনায় সম্পুরক শুল্ক ৩০ ভাগ হতে হ্রাস করে ২০ ভাগ করা হয়। করোনাকালে মাইক্রোবাসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রোগী, ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আনা নেয়ায় মাইক্রোবাস বেশি ব্যবহার হচ্ছে। বারভিডার পক্ষ থেকে বলা হয়, মন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় এ সংক্রান্ত কোন নিষেধ, নির্দেশনা বা শর্ত না থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে কেন এমনটি করা হলো- তা বোধগম্য নয়। তাছাড়া ডিজেলচালিত এসব মাইক্রোবাস বাংলাদেশে খুবই সামান্য সংখ্যায় আমদানি করা হয় -যা মোট আমদানির ৫ ভাগের এর বেশি হবে না। কাজেই ডিজেল চালিত ১০-১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে বাজেট বক্তৃতার ঘোষণা অনুযায়ী সম্পুরক শুল্ক হ্রাসের সুবিধা দেয়া হলে পেট্রোলচালিত একই নামের, একই আয়তনের ও বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে তা না দেয়ার কোন কারণ দেখা যায় না। কোন যানবাহনের ক্ষেত্রেই জ্বালানি কিংবা ফুয়েল ব্যবহার বিবেচনায় শুল্ক-কর হারের তারতম্য করা হয় না। সাধারনত: ইঞ্জিন ক্ষমতা (সিসি) ভিত্তি বিবেচনায় শুল্ক কর আরোপ করা হয়। আলোচ্য যানের ক্ষেত্রে ফুয়েল নয়, যাত্রী আসন ক্ষমতা ভিত্তিক শুল্ক কর আরোপ করা আছে। সার্বিক বিবেচনায় হেডিং ৮৭.০৩ এর অন্তর্গত এইচএসকোড ৮৭০২.৯০.৪০ এর অধীন পেট্রোলচালিত ১৫ আসন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকে এইচএসকোড ৮৭.০২.১০.৪৯ এর অধীন ১৫ আসন বিশিষ্ট যানবাহনের ন্যায় একই সুবিধা দেয়ার জন্য বারভিডা জোর দাবি জানাচ্ছে।
×