ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ২০:০৬, ২ আগস্ট ২০২১

সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ‘নিয়ম নীতিহীন ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশনের (আইপিটিভি) বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশব্যাপী ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি খুলে যার যেমন ইচ্ছে তেমন করবে, সেটা কখনও আইনসম্মত বা বাঞ্ছনীয় নয়।’ সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে বর্তমান সরকার গড়ে তুলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যক্তি নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। কেউ করছে অনলাইন পোর্টাল আবার কেউ করছে আইপিটিভির মতো প্রচার মাধ্যম। কেউ কেউ ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এদের নেই কোন নীতি-নৈতিকতা, নেই সঠিক তথ্য। যার যা মনে আসছে তাই প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় কিছু যন্ত্রপাতি দিয়েই চালু করা হচ্ছে আইপিটিভি। দেশের একটি সম্প্রচার নীতিমালা থাকলেও এই টিভিগুলো যেহেতু এখনও কোন নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তাই ইচ্ছেমতো যা খুশি সম্প্রচার করে যাচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ভাষায়, ‘কিছু আইপিটিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হয়। আবার দেখা যায় অনুমোদন পাবার আগেই কেউ কেউ টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অফিস খুলে বসেছে, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে। এ সকল বিষয়কে একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন’। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর উদ্যোগে ইতোমধ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অনলাইন পোর্টালগুলোকে একটি নীতিমালার আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকা আবেদন করেছে। যাচাই-বাছাই করে এর মধ্যে ৫২টি পোর্টাল এবং ৩৪টি পত্রিকার অনলাইন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর মান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একইভাবে আইপিটিভিগুলোকেও একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভাল মানের আইপিটিভি অনুমোদন পাবে এবং যেগুলোর বিষয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে সহসাই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রণালয় আইপিটিভিগুলোর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিল। প্রায় পাঁচ শতাধিক দরখাস্ত জমা পড়েছে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজও আমরা গুছিয়ে এনেছি। যেগুলোর মান ভাল, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’ শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত নীতি এবং নানা উদ্যোগের কারণে তথ্যপ্রযুক্তি এখন মানুষের হাতের নাগালে। কেউ কেউ এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে গোটা বিশ্বকে নিয়েছেন হাতের মুঠোয়। আবার কেউ এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তরুণ সমাজকে পরিচালিত করছে বিপথে। এমনকি সরকারের দেয়া সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এমন কর্মকান্ড কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। সরকারের উচিত সার্বিকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি নীতিমালা তৈরি করা, যাতে মানুষ এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। একই সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদেরও উচিত নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করা।
×