ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন রূপে ভাঙ্গাচোরা শিবগঞ্জ পৌরসভা

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১ আগস্ট ২০২১

নতুন রূপে ভাঙ্গাচোরা শিবগঞ্জ পৌরসভা

সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা নিরসনে নতুন নির্বচিত পৌর পরিষদ শিবগঞ্জ পৌরসভায় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এতে শহরের পুরনো ভাঙ্গাচোরা রাস্তার রূপ পাল্টে যাবে বলে আশা করছেন পৌরবাসী। পাড়া-মহল্লার অলি-গলি থেকে শুরু করে সব রাস্তায় লাগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এছাড়া বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপনসহ আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করতে যা যা করা দরকার সবই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ। সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি মেয়রের আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার কারণে এমন উন্নয়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন পৌরবাসী। জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ শিবগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেয়র সেয়দ মনিরুল ইসলাম। এর পরপরই পৌরসভার উন্নয়নে কাজে হাত দেন পৌর মেয়র। শিবগঞ্জ পৌরসভায় পাঁচ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কাজ শুরু করেছেন। বাংলাদেশ সরকার, এলজিএসপি-৩, কুয়েত ফান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ নগর প্রকল্পের অর্থায়নে ও পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ১১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ড্রেন, বিটুমিনাস কার্পেটিং রাস্তা, কালভার্ট, রাস্তা প্রশস্তকরণ, পুরো পৌরসভায় উন্নতমানের সড়কবাতি স্থাপন ছাড়াও পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে ব্যাপক উন্নয়নকাজ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে একেবারে পাল্টে যাবে শিবগঞ্জ পৌরসভার চিত্র। পৌর কাউন্সিলর ফারুক ইসলাম জানান, পৌরসভার প্রতিটি মহল্লায় উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠি উপকার পাবে। পাশাপাশি উন্নয়নের সুফলও ভোগ করতে শুরু করেছে পৌর এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী। পৌরসভার ওয়ার্ডের চিত্র এখন বদলে যাচ্ছে। পৌর বাসিন্দা সাদিকুল ইসলাম জানান, পৌরবাসী নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। একসময় ছিল ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় কাদা মাটির রাস্তা। পাকা রাস্তা আর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ হলে বাসিন্দারা এখন শহুরে সুবিধা ভোগ করবে। শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সেয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার জনগণ বিপুল ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচনী ইশতেহার ছিল এ পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল পৌরসভার রূপান্তর। যার মধ্যে থাকবে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ বিভিন্নসহ প্রকল্প। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ পৌরসভার পুঞ্জিভূত সমস্যা নিরসনে পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে এ পৌরসভার উন্নয়ন করা হবে। পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোর কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। নির্বাচিত হওয়ার আগে পৌরবাসীকে যে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছিলাম, সেগুলো বাবায়নে সদা সচেষ্ট রয়েছি। এ পৌরসভাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পৌরসভা গড়তে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
×