ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরিতে হাজার হাজার যাত্রী, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ৩১ জুলাই ২০২১

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরিতে হাজার হাজার যাত্রী, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥গার্মেন্টসসহ শিল্প কলকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর আজ শনিবার সকাল থেকে কঠোর লকডাউন এর বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ইলিশা ফেরিঘাট ভিড় করে। সকাল দশটার দিকে লক্ষীপুর থেকে প্রথম ফেরি ঘাটে পৌঁছালে হাজার হাজার যাত্রী কে কার আগে উঠবে তার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের থামাতে পারেনি। কোনো যানবাহন তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের ফেরিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ছিলনা কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। প্রচণ্ড গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। লক গাউনে লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে প্রথম ফেরি ছেড়ে গেলেও কয়েক হাজার যাত্রী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ফেরিঘাটে অপেক্ষা করে পরের ফেরির অপেক্ষায়। কর্মস্থলে ফেরা শ্রমজীবী মানুষরা জানান হঠাৎ করে তাদের গার্মেন্টস শিল্প কলকারখানা খুলে দেওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। তাদের অফিস থেকে বলা হচ্ছে আগামীকাল কাজে যোগ দিতে অথচ লঞ্চ থেকে শুরু করে সকল গণপরিবহন বন্ধ। একদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের ১০ দিনের বেতন কাটা হয়। তাই বিপাকে পড়ে চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদে পদে বাধা উপেক্ষা করে রহমানকে নিয়ে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে রওনা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ ৫ আগষ্ট পর্যন্ত লকডাউন ছিল । তারপর গণপরিবহন খুলে দিলে তাদের কল-কারখানা গার্মেন্টস খোলা হলে তাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না। এদিকে ফেরিতে উঠতে না পেরে অনেকে আবার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ট্রলারে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কোস্টগার্ড ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে যাত্রীরা। এ সময় কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রলার আটক করা হয়।
×