ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আরেকটি ফোনালাপ

ভর্তি বাণিজ্য নিয়েই ভিকারুননিসায় এত দ্বন্দ্ব!

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ৩১ জুলাই ২০২১

ভর্তি বাণিজ্য নিয়েই ভিকারুননিসায় এত দ্বন্দ্ব!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভর্তি বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে দেড় কোটি টাকা লোপাট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ভর্তি বাণিজ্য ও উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজ অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গবর্নিং বডির সদস্য মনিরুজ্জামান খোকনের ২৭ মিনিট ৩ সেকেন্ডের আরেকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতে রীতিমতো এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারার লড়াই চলছে। তাতে মনে হচ্ছে, অভিভাবক প্রতিনিধি হওয়া যেন সোনার হরিণ। এমন মনে করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় লাখ লাখ টাকার চাঁদার খেলা হয়। তা নিয়ে এত দ্বন্দ্ব। আরেকটি ফোনালাপ ভাইরাল ॥ রাজধানী ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের আরেকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এবার তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গবর্নিং বডির সদস্য মনিরুজ্জামান খোকনের ২৭ মিনিট ৩ সেকেন্ডের কথোপকথন রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে উভয়ের এই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফোনালাপে অধ্যক্ষকে বলা হয়, কোর্টের চিন্তা করলে ভিকারুননিসায় প্রিন্সিপালগিরি করতে পারবেন না। এ সময় পুলিশ ও উর্ধতন পর্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যক্ষকে ভর্তির জন্য কৌশলে চাপ সৃষ্টি করা হয়। এর আগের ফোনালাপ নিয়ে তদন্ত কমিটি ॥ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু“ করেছে। গত ২৮ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উভয়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসময় তাদের কছে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা নেয়া হয়। আগামী ২ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। গত ২৫ জুলাই রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার (মুকুল) ও অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
×